বিক্রমপুর যাদুঘরে স্মরণীয় স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২২, ১১:১৪ | আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৪৮
মুজিব রহমান
-----------------
গত ১১ মার্চ ২০২২ শুক্রবার বিকেলে প্রখ্যাত কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক উদ্বোধন করলেন আমাদের শহীদ সিরাজুম মুনীর-শহীদ নিজাম উদ্দিন আজাদ স্মৃতি পাঠাগার৷ মুনীর লৌহজং ও আজাদ শ্রীনগরের সন্তান৷ সিরাজুম মুনীর কবিতা লিখতেন৷ বাবা-মা আগলে রাখতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তাঁর রক্তে চলছিল যুদ্ধের দামামা৷ আর আজাদ ছিলেন প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক, কূটনৈতিক ও ভাষাসৈনিক কামরুদ্দিন আহমদ এর পুত্র৷ ১৯৪৭ সালে জন্ম বলে বাবা নাম রাখেন আজাদ যার অর্থ স্বাধীন৷ আবার দেশ স্বাধীন করার জন্য যোগ দিলেন মুক্তিযুদ্ধে৷ মুনীর ও আজাদ এক সাথেই ছিলেন৷ দুজনেই করতেন ছাত্র ইউনিয়ন৷ সেদিন ছিল ১১ নভেম্বর রাত৷ কুমিল্লার বেতিয়ারা যুদ্ধে দুই বন্ধুই প্রাণ হারান৷ তাঁদের স্মরণ রাখার জন্য কিছু একটা করার খুব প্রয়োজন ছিল৷
শহীদ মুনীর ও আজাদের স্মৃতি রক্ষার জন্য অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন বিক্রমপুর জাদুঘর পান্থশালায় স্থাপন করে পাঠাগারটি৷ এজন্য সভাপতি ড. নূহ-উল-আ্লম লেনিন ভাইর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই৷ স্থানীয় পাঠক ও পর্যটকদের জন্যও পাঠাগারটি খুব প্রয়োজন ছিল৷
প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক আনিসুল হক ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন গবেষক অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হাসান, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ঝর্না রহমান, লেখক অধ্যাপক আলম শহীদ, সাংবাদিক নাসির উদ্দিন জুয়েল, অধ্যক্ষ মো. মুজিবুর রহমান তালুকদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম ও প্রমায়ণের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন আকাশ৷ সভাপতিত্ব করেন ডা. আব্দুল মালেক ভূঁইয়া ও সঞ্চালনা করেন মুজিব রহমান৷
স্মরণীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনিসুল হকের সহধর্মিনী মেরিনা ইয়াসমীন, প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম হোসেন, শিক্ষক নেতা জিএমএ লতিফ, সাংস্কৃতিক কর্মী তাপস কুমার দাস, আমির হাসান মিলন, লেখক মহসীন দেওয়ান লিটন, সান্দ্র মোহন্ত, ইকবাল হোসেন বাবুল, সাজ্জাদ সাদমান, শিক্ষক সিদ্দিক সাইফুর জামান মানিক, মোঃ আদেল মিয়া, আবু সাইদ তালুকদার, দিলরোজ আক্তার বানু, আশরাফুল আলম, ববিতা রানী সিকদার, দেওয়ান আবুল হাশেম, শ্যামল চন্দ্র সাহা, রতন কুমার দাস, নিশীথ মণ্ডল, সাংবাদিক অধীর রাজবংশী, উজ্জ্বল দত্ত, নাহিদ হাসান, তাইজুল ইসলাম উজ্জ্বল, সংগঠক সপরিবারে সমর দত্ত, মোস্তাফিজুর রহমান জিতু, মোঃ জসীম, জহিরুল ইসলাম মিশু, সুদীপ্ত সাহা বাঁধন, সাহিত্যানুরাগী রোকসানা ফেরদৌস ফরিদা প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ৷ উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন অপরাজিতা, আবৃত্তি করেন সামিয়া ইসলাম ও অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মাইশা ফাহমিদা৷ অনুষ্ঠান শেষে সংগীত পরিবেশন করেন ঝর্না রহমান ও ববিতা রানী সিকদার৷
বেগম রোকেয়া কিভাবে নারী জাগরণ ঘটান, বই পড়া কেন প্রয়োজন, পাঠাগার সচল রাখা, স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা ইত্যাদি প্রসংগ নিয়ে আনিসুল হক মূল্যবান কথা বলেন৷ তাঁর মা উপন্যাসটি লেখা হয়েছে লৌহজং এর মাগফার চৌধুরী আজাদের পরিবার ও তাঁর মুক্তিযুদ্ধের কথা নিয়ে৷ সেখানে শ্রীনগরের দক্ষিণ পাইকসা গ্রামের বীরবিক্রম আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েলের কথাও রয়েছে৷
প্রধান অতিথিকে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন ও ভাগ্যকুল পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বই উপহার দেয়া হয়৷ অনুষ্ঠানের আগে অতিথিবৃন্দ জাদুঘর পরিদর্শন করেন৷
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত