বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় জনগণের সিদ্ধান্তে যাবে, বিদেশিদের পরামর্শে না: ড. মোশাররফ
প্রকাশ: ৯ এপ্রিল ২০২২, ১৪:০০ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০৭
বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় জনগণের সিদ্ধান্তে যাবে, বিদেশিদের পরামর্শে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ বাংলাদেশে যে সংকট—দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের অধিকার নেই, ভোটের অধিকার নেই। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হামলা-মামলা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। স্বৈরাচারী সরকার সব সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ধ্বংসের কিনারায় গিয়ে পৌঁছেছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা খুব লজ্জিত, বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকায় গিয়ে ধরনা দিচ্ছেন। কয়েকদিন আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, বিএনপি নাকি ধরনা দেয়। আজ প্রমাণিত বাংলাদেশের মানুষের সামনে ধরনা কারা দিচ্ছে। সব ক্ষেত্রে যখন সরকারের পরাজয় তখন তারা বিদেশিদের সহযোগিতা চাচ্ছে। এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
আজ শনিবার দুপুরে শেরেবাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরে সিলেট জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। এটা বেশি কিছু না কিন্তু আজ যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, তারা পরপর ৩টি জাতীয় নির্বাচন ও সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে কারচুপি করেছে জনগণ ভোটের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো দিন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। সরকারের উচিত অতিদ্রুত পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচন দেওয়া। তাহলে দেশের সব জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা আসবে। বিএনপিও জনগণের দল হিসেবে সেই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
আমেরিকায় গিয়ে অনুরোধ করা সমাধান না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকায় গিয়ে অনুরোধ করছে তারা যেন বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে বলে। এটা অন্য কেউ বলার বিষয় না। এ দেশের মানুষ যেদিন বলবে, হ্যাঁ, তারা ভোট দিতে পারবে, তাদের আস্থা ফিরে এসেছে। সেদিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। সমাধান আমেরিকায় গিয়ে অনুরোধ করা না, আমেরিকার কাছে ধরনা দেওয়া না-সমাধান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। জনগণ যাদের নির্বাচিত করবে তারাই সরকার গঠন করবে।
সরকার কী পরিমাণ দুর্বল হয়ে পড়েছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। দেশের জনগণের আস্থা নেই। আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশ ধিকৃত। কেননা বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই। র্যাবসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য সম্মানের না। বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সে ব্যাপারেও এখানে সংশোধের চেষ্টা না করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকায় গিয়ে তাবেদারি করছে, বলেন মোশাররফ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত