বিএডিসির বীজ আলু উৎপাদনে সফল চাষি কাউনিয়ার তাজরুল 

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪২ |  আপডেট  : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:০৩

চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এর আওতায় রোপণ করা উচ্চ ফলনশীল এবং বিদেশে রপ্তানিযোগ্য এস্টারিক্স ও লেডিরোসেটা জাতের বীজ গোল আলু উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা আশা করছেন কাউনিয়ায় চাষি তাজরুল ইসলাম সহ সুরুজ ও নজরুল। 

জানা গেছে, বিএডিসি আলু বীজ উৎপাদন জোন কুড়িগ্রাম এর আওতায় রামসিং-২ ব্লোকে কাউনিয়ার চাষি তাজরুল ইসলাম সহ আরও দুইজন চাষি মিলে ৩৮ একর জমিতে গত ১৭ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে এস্টারিক্স ও লেডিরোসেটা জাতের বীজ গোল আলু উৎপাদনের জন্য রোপন করেন। এর মধ্যে ২৩ একর জমিতে এস্টারিক্স এবং ১৫ একর জমিতে লেডিরোসেটা রোপন করেন। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আলু চাষের অনুকূলে থাকায় গাছের ধরন ও ফলন দেখে রোপণ করা জাতগুলোর বীজ আলু উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা আশা করছেন বিএডিসির বিভিন্ন স্তরের কৃষি কর্মকর্তা ও বিএডিসির স্থানীয় চুক্তিবদ্ধ আলু চাষি তাজরুল ইসলাম। 

মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন সংর¶ণ ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষদের মাধ্যমে বিএডিসি আলু বীজ উৎপাদন করে আসছে। প্রতিটি গাছের শিকড়ে ছোট ছোট অনেক আলু ধরেছে। বীজ রোপণের পরে ৭৫ দিন থেকে ৮০ দিনের মধ্যে এসব আলু উত্তোলন করে পরবর্তী মৌসুমে রোপণের জন্য বীজ হিসেবে সংর¶ণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএডিসির কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় চুক্তিবদ্ধ আলু চাষি তাজরুল ইসলাম। তাজরুল ইসলাম জানান, তাদের বীজ আলু উৎপাদনের জন্য প্রতি একরে খরচ হয়েছে ১লাখ ৬০হাজার টাকা। একরে আশা করছি বীজ আলু ৬টন ও খাওয়ার আলু ১টন উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা তাদের। 

উপসহকারী পরিচালক রনজিৎ কুমার রায় জানান, এ অঞ্চলের মাটি বিশেষ করে তিস্তার চর আলু চাষের উপযোগী। তাই চলতি মৌসুমে বিএডিসির আওতায় উচ্চ ফলনশীল ২টি জাতের বীজ আলু উৎপাদনে সফলতার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছি। আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবাদানসহ নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছি। ফলন খুবই ভালো হবে এবং এখানকার উৎপাদিত বীজ আলু চাষি পর্যায়সহ দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করবে। যেসব জাতের বীজ আলুর উৎপাদন ভালো হবে, সেগুলো বিএডিসির হিমাগারের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে। তাছাড়া বিদেশে রপ্তানি করেও কৃষক লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তিনি। এলাকার সাধারন কৃষক আঃ রহিম জানান বিএডিসির উৎপাদিত আলু বীজ সবচেয়ে ভাল। এই বীজ রোপন করে কেউ ঠকে নাই এবং রোগবালাই কম হয়। 

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত