বাড়তি ডিম-মুরগির দাম, সবজি আগের দামেই বিক্রি
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২১, ১১:০৮ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডাল, ডিম ও মুরগির দাম। কমেছে চাল ও পেঁয়াজের দাম। অপরদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে বেশিরভাগ সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান টমেটো ১০০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৮০ টাকা ও কাকরোল ৮০ থেকে ৬০ টাকা।
বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি। পাঁচ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে। কাঁচাকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। প্রতিকেজি হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডালের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডালের প্রতিকেজি দাম ছিল ৮০ টাকা।
এসব বাজারে প্রতিকেজি চিনির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি চিনির খুচরা মূল্য ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়।
বাজারে পাঁচ টাকা দাম বেড়ে প্রতি ডজন লাল ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম ২০ টাকা বেড়ে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।
মুরগির দাম কেজিপ্রতিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকায়। লেয়ার মুরগি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মুরগির দামও। মুরগির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজারে প্রতিকেজি চালের দাম কমেছে দুই থেকে এক টাকা। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা, মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৪৮ টাকা, মোটা চালের প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, পোলাওয়ের চাল আগের দামেই ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের চাল বিক্রেতা মো. কামাল বলেন, সব ধরনের চালের কেজি প্রতি পাইকারি দাম কমেছে এক থেকে দুই টাকা। চালের দাম আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ইন্ডিয়ান চাল বাজারে আসবে বলে, চালের দাম কমতে শুরু করছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত