বারী সিদ্দিকী না থাকার চার বছর
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১৪:০৯ | আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০
আজ বুধবার, ২৪ নভেম্বর। সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকী ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর পরিবার ও অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। বাঁশির সুর ও সরল ভাষার এই শিল্পীর না থাকার চার বছর আজ। তার গানে অদ্ভুত এক জাদু ছিল। যে কারণে গানগুলো গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন বারী সিদ্দিকী। সংগীত পরিবারে জন্ম হওয়ায় শৈশব থেকেই গানের সঙ্গে বেড়ে উঠা তার। পরিবারের সদস্যদের বাইরে বরেণ্য ওস্তাদদের থেকে তালিম নিয়েছিলেন তিনি।
১৯৮০ সাল থেকে বিশ বছর বাঁশি বাজিয়ে বাঁশির সরল সুরে বিশ্ব জয় করেন। ১৯৯৯ সালে জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাঁশি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন বারী। সেখানে টানা ৪৫ মিনিট বাঁশি বাজান। আর তার বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয় বিশ্ব শ্রোতা। সেখান থেকে উপমহাদেশজুড়ে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। এছাড়া হৃদয়স্পর্শী সুরের অনন্য কারিগরও বলা হয় এই শিল্পীকে।
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয়তা লাভ করেন বারী। এরপর দুটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন, ‘দুঃখ রইলো মনে’ এবং ‘অপরাধী হইলেও আমি তোর’।
হৃদয়স্পর্শী সুরের অনন্য এই কারিগরের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য একক অ্যালবামগুলো হলো ‘সরলা’, ‘ভাবের দেশে চলো’, ‘সাদা রুমাল’, ‘মাটির মালিকানা’, ‘মাটির দেহ’, ‘মনে বড় জ্বালা’, ‘নিলুয়া বাতাস’ ও ‘দুঃখ দিলে দুঃখ পাবি’। এছাড়া তার কণ্ঠে বিরহ-বিচ্ছেদ আর মরমী গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শুয়া চান পাখি’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘রজনী’, ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’, ‘পুবালি বাতাসে’, মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ ‘আমার মন্দ স্বভাব জেনেও’ প্রমুখ।
সংগীতের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২০১৪ সালে ‘প্রবাস প্রজন্ম জাপান সম্মাননা’ পেয়েছেন সরল ভাষার শিল্পী বারী। এছাড়া ‘সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’ পেয়েছেন তিনি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত