বান্দরবানের থানচিতে বিরল প্রজাতির শকুন অবমুক্ত
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ | আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭
জেলার থানচি উপজেলায় দীর্ঘ দশদিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়ার পর বিরল প্রজাতির একটি শকুনকে আবারো বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় পর্যটক এলাকা তমাতুঙ্গির গভীর বনে শকুনটি অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ।
গত ১০ ডিসেম্বর মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গম বড় মদক এলাকার বন থেকে রেমাক্রী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য লালপিয়াম বম অসুস্থ অবস্থায় বিরল প্রজাতির শকুনটিকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি শকুনটি থানচি থানাতে নিয়ে আসেন। থানচি থানার পুলিশ শকুনটিকে বন বিভাগের থানচি রেঞ্জের কাছে হস্তান্তর করে।
শকুনটি অবমুক্ত করার সময় থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন,বন বিভাগের থানচি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুল রহমান, স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা,থানচি রেঞ্জের ফরেস্ট গার্ড মৃনাল কান্তি ভাওয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, এসময় বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত অর্ধশতাধিক পর্যটক উপস্থিত ছিলেন।
বন বিভাগের থানচি রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুল রহমান টগর জানান, গত ১০ ডিসেম্বর মায়ানমার সীমান্তের দুর্গম বড় মদক এলাকার বন থেকে রেমাক্রী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য লালপিয়াম বম অসুস্থ অবস্থায় বনে পড়ে থাকা বিরল প্রজাতির অসুস্থ শকুনটিকে উদ্ধার করে থানচি থানায় নিয়ে যান। একইদিনের থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিমউদ্দিন শকুনটিকে বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করেন। পরে, বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা শকুনটির চিকিৎসা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন জানান, বিরল প্রজাতির শকুনটি এশিয় প্রজাতির এবং এটি বাংলা শকুন নামে পরিচিত। পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা এই প্রজাতির শকুনকে বিশ্বের মহাবিপন্ন প্রাণি হিসেবে ঘোষণা করেছে। সুস্থ হওয়ার পর এ শকুনটিকে গভীর বনাঞ্চলের অবমুক্ত করা হয়েছে। (বাসস)
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত