বাগেরহাটে প্রতিবন্ধী যুবতীকে ১২ দিন বেঁধে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০৬ | আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:০৫
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে দিনমজুর সাদ্দাম হোসেন ও অজ্ঞাতনামাসহ তিন যুবকের বিরুদ্ধে দলিত শ্রেণির বাক প্রতিবন্ধী এক যুবতীকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে ১২দিন ধরে বেঁধে ও অর্ধাহারে রেখে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে ওঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, মোল্লাহাট উপজেলার চাদেরহাট এলাকার দলিত (ঋষি) পরিবারের যুবতীকে (২৪) প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অজ্ঞাত স্থানে একটি টিনের ঘরের মধ্যে বেঁধে ও অর্ধাহারে রেখে সীমাহীন নির্যাতন এবং ধর্ষণ করা হয়।এ ঘটনায় বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মোল্লাহাট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে ভিকটিমের মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন (২৩) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার একশিরা গ্রামের ওয়াজেদ এর ছেলে। সে মোল্লাহাট থানাধীন চাদেরহাট এলাকার কাকড়ি গ্রামের জিবরাঈলের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করতো।
এজাহার ও ভিকটিমের পরিবার সুত্রে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন দীর্ঘদিন এই এলাকায় থাকার সুযোগে ঋষি পরিবারের প্রতিবন্ধী যুবতীকে প্রলোভন দেখিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একটি টিনের ঘরের মধ্যে কোমর বেঁধে ও অর্ধাহারে রেখে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে। এ সময় সাদ্দামের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট আরো তিন যুবক প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ করে। প্রথমে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করায় মারপিট করাসহ হত্যার ভয় দেখানো হয় বলেও জানান তারা। এরপর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে অসুস্থ ভিকটিমকে চাদেরহাট এলাকায় সড়কে রেখে যায় সাদ্দাম হোসেন। পরে ভিকটিমের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে সাদ্দামের মহাজন জিবরাঈলের কাছে বিচার পাওয়ার আশায় মৌখিক অভিযোগ করেন। জিবরাঈলের স্ত্রী নাজমিন বেগম জানান, তাদের কাজের ছেলের স্ত্রীর সাথে ৫/৬ মাস ধরে ঝামেলা চলছে, সেই ঝামেলা নিয়ে বাড়িতে গেছে সাদ্দাম, এরমধ্যে সে এমন ঘটানোর কথা নয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত