বাইডেন-পুতিন করমর্দন, জেনেভায় ৩ ঘণ্টা কী আলোচনা করলেন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২১, ০৭:৫২ |  আপডেট  : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১

হাত বাড়িয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে হাত ধরলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার জেনেভা ভিলার বাইরে করমর্দনের মাধ্যমেই আলোচিত সম্মেলন শুরু করলেন দুই প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার দীর্ঘ উত্তেজনার মধ্যেই দুই প্রেসিডেন্ট পারস্পরিক বোঝাপড়ার লক্ষ্যে আলোচনা করছেন।

সম্মেলন আয়োজক সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট গাই পারমেলিন সম্মেলনের সূচনা করার পর বাইডেন-পুতিন হাত মেলান।

সম্মেলনে দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের নিয়ে দুই প্রেসিডেন্ট যখন আলোচনায় বসছেন, তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বাইডেন বললেন, ‘সরাসরি দেখা হওয়াটা সব সময়ই ভালো।’ যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার দীর্ঘ উত্তেজনার মধ্যেই দুই দেশের প্রেসিডেন্ট দীর্ঘ  তিন ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর  পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের এটা ছিল প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বাইডেন ও পুতিন বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন। এসব ইস্যুর মধ্যে ছিল-যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, সাইবার হামলা, মানবাধিকার, ইউক্রেন, বেলারুশ, কৌশলগত স্থিতিশীলতা, আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি। সম্মেলন আয়োজক সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট গাই-পারমেলিন সম্মেলনের সূচনা করার পর বাইডেন-পুতিন হাত মেলান।

বাইডেনের পাশে বসে পুতিন বলেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, সাক্ষাতের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সম্পর্কে অসংখ্য বিষয় জমে আছে যেগুলো আলোচনা করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠক প্রয়োজন।    

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে পুতিনকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘সিএনএন’ প্রশ্ন করে, বৈঠক শত্রুতাপরায়ণ ছিল কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, বাইডেনের সঙ্গে তার সংলাপ শত্রুতাপরায়ণ ছিল না বরং গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। সংলাপে তারা একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করেছেন।

অন্যদিকে, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বাইডেন বলেন, পুতিন ও তিনি ‍দুই দেশের সহযোগিতা এবং পারস্পারিক স্বার্থের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করা নিয়ে কথা বলেছেন।

সংলাপে মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে বাইডেন রাশিয়ার সমালোচনা করলে পুতিন উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক সহিংসতা এবং ড্রোন আক্রমণের সমালোচনা করেন। পুতিন তার স্বাভাবজাত পাল্টা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে যুক্তি দিয়ে বলেন, মানবাধিকার সম্মানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জবাবদিহিতার অনেক কিছু আছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি গুয়ান্তানামো -বে কারাগারের কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই কারাগারে বন্দিদের অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভ্লাদিমির পুতিন কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরুর অংশ হিসেবে উভয় দেশের রাষ্ট্রদূতের কাজে ফেরার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজের পর দুই দেশের রাষ্ট্রদূতরা নিজ নিজ দেশে অবস্থান করছেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত