বাংলাদেশী মেয়ে পাচারকারী ঢাকার ফিরোজ সর্দার কলকাতায় গ্রেফতার
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২২, ১৫:০৫ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮
পাড়ায়-পথেঘাটে ছদ্ম-বন্ধুত্ব পাতিয়ে প্রতারণার বৃত্তান্ত কম নেই। এ বার ফেসবুকে বিভিন্ন ভুয়ো নামে প্রোফাইল বানিয়ে বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে নারী পাচারের অভিযুগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো বা ছদ্মনামে মূলত তরুণীদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে ‘বন্ধু’ হয়ে উঠত ওই যুবক। তার পরে বিউটি পার্লার, আয়া-সহ নানা ধরনের চাকরির আশ্বাস দিয়ে প্রধানত বাংলাদেশি যুবতীদের এ দেশে পাচার করে দিত।
ওই ‘বন্ধু’র শাগরেদরা কাজের আশ্বাস দিয়ে সীমান্ত পার করে মেয়েদের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যেত। সিআইডি জানায়, ফিরোজ সর্দার ওরফে সৈকত নামে ওই ভুয়ো বন্ধুকে গত সপ্তাহে তার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের বিঠারি গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এখন সিআইডি-র হেফাজতে আছে সে।
এক সিআইডি-কর্তা জানান, এই দুষ্কর্মের জন্য রীতিমতো চক্র গড়ে তুলে সৈকত তার পান্ডা সেজে বসেছিল। বেঙ্গালুরুতে এই ধরনের কাজ করার সময় গোয়েন্দাদের তাড়া খেয়ে সে প্রথমে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরপুর হয়ে পালিয়ে আসে নিজের গ্রামে। সেখান থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে পাকড়াও করা হয়। ওই চক্রের আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিআইডি-র খবর, জানুয়ারিতে বাংলাদেশের মিরপুরের এক যুবতীকে বেঙ্গালুরুতে পাচারের আগেই হাওড়া স্টেশনের পার্কিং এলাকা থেকে দু’জনকে ধরে ফেলেন সিআইডি-র ‘অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট’ বা মানব পাচার প্রতিরোধ শাখার অফিসারেরা। তাদের জেরা করে খোঁজ মেলে সৈকতের। জানা যায়, বেঙ্গালুরুতে ওই যুবতীকে একটি বিউটি পার্লারে কাজ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল সে। জেরার মুখে ধৃতেরা জানায়, পরের পর ফেসবুক প্রোফাইল খুলে বন্ধুত্ব পাতাত সৈকত।
তদন্তকারীরা জানান, দালালদের সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত পেরিয়ে সৈকতের লোক যুবতীদের নিয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে যেত। সেখানে ট্রেনের টিকিট নিয়ে তৈরি থাকত চক্রের অন্য কেউ। বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে সে-ই যুবতীদের তুলে দিত সৈকতের হাতে। অভিযোগ, কাজ দেওয়ার নামে সৈকত যুবতীদের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিত।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত