বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের শক্তিশালী ও জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলিসামাদ
প্রকাশ: ৬ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৮ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:১৯
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ৯০ দশক পর্যন্ত যেসব সিনেমা রয়েছে সেসব সিনেমাগুলো একেকটি অমূল্য সম্পদ। সুস্থ্যধারার বিনোদন, একশন, কমেডি সব কিছুর সংমিশ্রন এই চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে প্রধান চিরত্রগুলোর পাশাপাশি সিনেমা জগতকে রঙিন করে তোলার কারিগর হলেন কৌতুক অভিনেতারা। যারা না থাকলে সিনেমাগুলো একটা ভাবলেশহীন প্রযোজনায় পরিণত হত। কৌতুক অভিনেতাদের প্রসঙ্গ আসলে যার নাম না বললেই নয় তিনি হলেন আব্দুস সামাদ যাকে ভক্তরা টেলি সামাদ নামে চিনে থাকেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মোস্তফা মামুন তার ডাক নাম দিয়েছিলেন টেলিসামাদ।
টেলি সামাদ বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের শক্তিশালী ও জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা। তিনি টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকেও অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও তিনি গায়ক এবং সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন।
টেলিসামাদ ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি বিক্রমপুরের নয়াগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন। তার বড় ভাই চারুশিল্পী আব্দুল হাই। সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমেদ তার চাচা।
১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ চলচ্চিত্রে কৌতুকাভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। নয়নমনি ও ‘পায়ে চলার পথ’-এর মত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন। ‘মনা পাগলা’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি ৫০টির মত চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। অভিনয়জীবনে চার দশকে ৬০০’র মত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র জিরো ডিগ্রী মুক্তি পায়।
টেলি সামাদ ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল দুপুরে অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত