বর্ষায় বাড়ে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা, প্রতিরোধে যা করবেন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১১:২১ |  আপডেট  : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০০

বর্ষা মৌসুমের মাঝামাঝি সময় পার করছে দেশের মানুষ। শুক্রবার (১২ জুলাই) টানা কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি ঝরেছে রাজধানীসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে। বৃষ্টি প্রশান্তিময় হলেও ভারী বৃষ্টিপাতে সড়ক তলিয়ে যাওয়া, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, বন্যাসহ বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। এসময় যেখানে সেখানে জমে থাকা পানি পরিমাণে বেড়ে যায়। আর এতেই মশার বংশ বিস্তার আশঙ্কাজনকহারে বাড়ে। বিশেষ করে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার উপস্থিতি তীব্রতর হয়। তাই বছরের অন্য মৌসুমের তুলনায় এ বর্ষায় বেশি সতর্ক থাকতে হবে। 

ডেঙ্গুর জীবানুবাহী এডিস মশার কামড়ে মূলত ডেঙ্গুজ্বর হয়ে থাকে। বৃষ্টির পানি, সৃষ্ট জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বাতাসে বেশি পরিমাণে আর্দ্রতা এ মশার দ্রুত বিস্তারে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে।পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, গাড়ির চাকার টায়ার, বাড়ির পানি সংগ্রহের ট্যাংক, ফুলের টব ও ফুলদানিতে জমে থাকা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এদের ডিম ফোটার জন্য পানির প্রয়োজন হয় বলে শুকনো মৌসুমে এ মশা কমে যায়। তাই এই ঋতুতে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। বাড়ি ও তার চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। খবর এনডিটিভির।

দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার বা রিপিলেন্ট স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। শরীরের যেসব অংশ খোলা থাকে সেখানে মসকিটো রিপিল্যান্ট ক্রিম লাগানো যেতে পারে। ভোর এবং সন্ধ্যায় যখন এডিস মশা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে তখন এই ক্রিম ত্বকে লাগানো যেতে পারে।  

ফুল-হাতা শার্ট পরা যেতে পারে এতে উন্মুক্ত ত্বকের পরিমাণ কমে যাবে।  

বাসার জানালায় মশারোধক নেট লাগানো যেতে পারে। যতটা সম্ভব ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হবে যাতে মশা সহজে ঘরে ঢুকতে না পারে।

এই জ্বরের বিশেষ কোনো উপসর্গ নেই। মাথাব্যথা, চোখের কোঠরে ব্যথা, মাংসপেশি ও শিরায় ব্যথা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল দানা বা র‍্যাশ ওঠা ডেঙ্গুর উপসর্গ। এই জ্বর সাধারণত ২-৫ দিন স্থায়ী হয়। জ্বর সেরে যাওয়ার পর ২-৩ দিনকে ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড বলা হয়। কারণ এ সময় রোগীর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে।

এই রোগ হলে রক্তক্ষরণ, পেটে প্রচণ্ড ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর কখনই এসপিরিন ও ব্যথানাশক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না।
 
যত বেশি সময় পারা যায় বিশ্রাম নিতে হবে। জ্বর থাকলে দিনে সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে হবে। এ ছাড়া বেশি করে পানি ও পানীয় এবং স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে। জ্বর ভালো হলে তিন দিন প্লাটিলেট কাউন্ট ও হেমাটাক্রিট করিয়ে চিকিৎসককে দেখাতে হবে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত