প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন চলমান থাকা সত্ত্বেও বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০১ |  আপডেট  : ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:১০

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন চলমান থাকা সত্ত্বেও আগামী রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হঠাৎ বদলি আদেশ ও কর্মবিরতির মাঝেও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি এড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. মাহবুবর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় তিনি জানান, সকালে ডিজি ও সচিবের কাছে লিখিত আবেদন দিয়ে জানানো হয়েছিল—আন্দোলন চললেও পরীক্ষা যেন আওতামুক্ত থাকে। তবে বিকেলে জানা যায়, আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “বৈঠক হলে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। বৈঠক হয়নি, তাই তা সম্ভব হয়নি। তারপরও আমরা রোববার থেকেই পরীক্ষা নেব। শিক্ষার্থীরা আমাদেরই সন্তান—তাদের ক্ষতি চাই না। দুই দিন পিছিয়ে গেলে শিক্ষাজীবনে বড় প্রভাব পড়ে না।”

মাহবুবর রহমান জানান, শিক্ষকরা বিভিন্ন এলাকায় অভিভাবকদের চাপের মুখে পড়েছেন। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর দাবি, বছরের পড়াশোনা শেষ; পরীক্ষা দুই দিন দেরি হলে বড় সমস্যা হতো না।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষাকে আন্দোলনের বাইরে রাখা হবে। তবে অন্যান্য কর্মসূচি পরীক্ষার পর আবারও চলবে। “সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবিতে আন্দোলন চলবেই,” যোগ করেন তিনি।

এর আগে ৪ ডিসেম্বরের আদেশে আন্দোলনে যুক্ত ৪২ জন সহকারী শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তালিকায় আন্দোলনের পাঁচ নেতাও রয়েছেন—খায়রুন নাহার লিপি, মো. শামছুদ্দীন মাসুদ, মো. আবুল কাশেম, মো. মাহবুবর রহমান ও মো. মনিরুজ্জামান। সবাইকে পার্শ্ববর্তী জেলায় বদলি করায় নিজ জেলায় থাকার সুযোগ থাকছে না।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত