পুতিন-ম্যাক্রোঁ বৈঠকে যা ছিল 

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:১৭ |  আপডেট  : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২৯

চলমান ইউক্রেন ইস্যুতে যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সে লক্ষ্যে মস্কো সফরে গিয়েছেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ৫ ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনা প্রশমনের। আলোচনা শুরু হওয়ার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের সঙ্কট সমাধানের প্রচেষ্টার জন্য ম্যাক্রোঁর প্রশংসা করেন।

ম্যাক্রোঁ বৈঠক শুরুর আগে বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ এড়াতে আশাবাদী। পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনার লক্ষ্য উত্তেজনা হ্রাস করা। তবে একই সময় ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আলোচনা হবে দীর্ঘ ও বিশদ। আর একটিমাত্র বৈঠক থেকে বেশি অগ্রগতি আশা করা ঠিক হবে না।

বৈঠকের পর ম্যাক্রোঁ বলেন, বর্তমানে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি বাড়ছে। রাশিয়া ও ইউরোপের কেউ অস্থিরতা ও উত্তেজনা চায় না। কারণ দেশগুলো আগে থেকেই করোনার কারণে সঙ্কটে আছে। তাই দীর্ঘমেয়াদে আমাদের স্থিতিশীল একটি সমঝোতায় আসতে হবে।

বৈঠক শেষে পুতিন বলেন, ফরাশি প্রেসিডেন্টের কিছু প্রস্তাবনা ভবিষ্যতে যৌথ উদ্যোগ নিতে সহায়তা করবে। তবে এতো দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

এসময় ফরাসি সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি কিন চান ফ্রান্স-রাশিয়া যুদ্ধ করুক? যদি তা হয়, তাহলে কোনো বিজয়ী থাকবে না।

আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমায়ার জেলেনস্কির সঙ্গে কিয়েভে বৈঠক করবেন ম্যাক্রোঁ। এরপর আবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন উত্তেজনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিষয়ে মস্কোর দাবি নিয়ে ফোনালাপ করেছেন ম্যাক্রোঁ ও পুতিন। মস্কো জানায়, এ দুই নেতা ‘সার্বিক ইউক্রেন পরিস্থিতি’ এবং ‘দীর্ঘ-মেয়াদি’ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিষয়ে রাশিয়ার দাবি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় পুতিন ‘কিয়েভ নেতৃত্বের উস্কানিমূলক বিভিন্ন বিবৃতি ও পদক্ষেপের ব্যাপারে আবারো মনোযোগ আকর্ষণ করেন।’

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া এমন অভিযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। এর জবাবে ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই সিধান্তের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া।

মস্কো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিধান্ত ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ। এতে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে ও এটি রাজনৈতিক সমাধানের সুযোগ কমিয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত