পার্বত্যবাসীর অনলাইন সুবিধা একের ভিতর অনেক সফটওয়্যার প্রশিক্ষণের আয়োজন করল পার্বত্য মন্ত্রণালয়

  প্রেস রিলিজ

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২৬ |  আপডেট  : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪০

ইন্টিগ্রেডেটড ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম সংক্রান্ত সফটওয়্যার মানসম্মত ও কার্যকরভাবে তৈরি এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কই প্লাটফর্মে বসে তৈরিকৃত সফটওয়্যারের ইউজাররা স্কিম, প্রশিক্ষণ, বৃত্তি, এনজিও, লাইসেন্স, নিয়োগ, আবাসন, সামাজিক নিরাপত্তা ও সার্ভিস ফিডব্যাক সম্বন্ধে যাবতীয় কর্ম ডিজিটালি সম্পাদন করতে সক্ষম হবেন।

 আজ রবিবার শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস হলরুমে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি।

 প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যেটি সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের একটি অংশ। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক দুর এগিয়ে গিয়েছি। নির্মিত সফটওয়্যারটি ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়াতে এটা স্যোশাল মিডিয়ার অন্যান্য এপ্লিকেশনের মতো ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই ব্যবহার করে খুব কম সময়ে সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

 এই অনলাইন সুবিধাটি কীভাবে আরো সহজতর করা যায় এবং প্রযুক্তিগত কোনো উন্নয়ন করা যায় কি না এটাই কর্শশালার মূল উদ্দেশ্য বলে জানান পার্বত্য সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি। আপাতত www.training.mochta.gov.bd নামে সফটওয়্যারটি প্রশিক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ইউজার একসেপ্টেন্স টেস্ট এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কতটুকু জানতে পারলো বা গ্রহণ করতে পারলো তার উপর ভিত্তি করে একটি যুগোপযোগী সফটওয়্যার তৈরি করে জনকল্যাণে কাজে লাগানোর জন্যই এই কর্মশালা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং সফটওয়্যারটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হলে mochta.gov.bd    এর মাধ্যমে প্লে-স্টোর এবং ইন্টারনেট প্লাটফর্মে ডেভেলপকৃত এই সফটওয়্যারটি একজন ব্যবহারকারী ঘরে বসেই অনলাইন সেবা সহজেই গ্রহণ করতে পারবেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন পার্বত্য জেলার গৃহীত সকল ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা, স্কিম সেবা, শিক্ষা উপবৃত্তি, প্রশিক্ষণ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, এনজিও সেবা, নিয়োগ সেবা, ভেন্ডর ব্যবস্থাপনা, আবাসন সেবাসহ আরও বেশ কয়েকটি নাগরিক সেবা পাহাড়ি জনগণ অনায়াসেই ভোগ করতে পারবেন এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে। কর্মশালার প্রাথমিকভাবে ভেন্ডর হিসেবে ছিল লিডস ও ড্রিম ৭১। কর্মশালায় সর্বোপরি সহযোগিতায় ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ও এটুআই।

 আয়োজিত কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম। এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ড্রিম ৭১ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ কবির এবং লিডস এন্টারপ্রাইজ সলিউশন এর ব্যবস্থাপক আতিক রশিদ। এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, প্রকৌশলী গোলাম সরওয়ার, বুয়েটের প্রফেসর সোহরাব হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও তিন পার্বত্য জেলার টিআর, জিআর উপকারভোগী, সাংবাদিক, ছাত্র ও এনজিওকর্মীগণসহ ৭৫ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। দু’দিন ব্যাপী কর্মশালার সমাপ্তি হবে আগামি ০১ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি.।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত