পাচার হওয়া অর্থ বিনাপ্রশ্নে দেশে আনার সুযোগ অসাংবিধানিক: টিআইবি

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২২, ২১:১৮ |  আপডেট  : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:২১

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে বিদেশে পাচার করা অর্থ কোনো প্রশ্ন না করে দেশে আনার সুযোগ অনৈতিক, বৈষম্যমূলক এবং বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি অসাংবিধানিক।

শুক্রবার (১০ জুন) এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলে। বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ এবং রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন সৃষ্ট বিশ্ব অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা, সরকারি ব্যয় সংকুলান এবং বেসরকারি খাতকে চাঙ্গা করার যুক্তিতে দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনাপ্রশ্নে ফেরত আনতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনের অভূতপূর্ব অনৈতিক এক প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। যা সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক এবং সংশ্লিষ্ট আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই প্রস্তাব বাতিলের আহ্বান জানায় টিআইবি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী যেভাবেই ব্যাখ্যা করুক না কেন-নামমাত্র কর দিয়ে প্রশ্নহীনভাবে পাচার করা অর্থ বিদেশ থেকে আনার সুযোগ স্পষ্টতই অর্থ পাচারকারীদের অনৈতিক সুরক্ষা ও পুরস্কার প্রদান। অথচ অর্থপাচার রোধ আইন ২০১২ এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অর্থপাচার গুরুতর অপরাধ, দেশের আইন অনুযায়ী যার শাস্তি পাচার হওয়া অর্থ বাজেয়াপ্ত করা এবং তার দ্বিগুণ জরিমানা ও ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড নির্ধারিত রয়েছে।’

এই সময় ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনৈতিক এই সুযোগ অর্থ পাচার তথা সার্বিকভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে। যা সংবিধান পরিপন্থী এবং প্রধানমন্ত্রীর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা’ ঘোষণার জন্য অবমাননাকর।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত