পাক-ভারত ম্যাচে থাকছে ১১ হাজার নিরাপত্তাকর্মী
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১৫ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯
প্রায় ৭ বছর পর আবার ভারতের মাটিতে পা রেখেছে পাকিস্তান। ১৪ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান মহারণ। এটা শুধু একটা ম্যাচ নয়, দু'দেশের ঐতিহ্য'র লড়াই। এ ম্যাচের উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। ম্যাচকে কেন্দ্র করে দর্শকদের সংঘর্ষে জড়ানোর ঘটানাও আছে অনেক। তাই এই ম্যাচে ঘিরে পুলিশ ছাড়াও ভারতের র্যাপিড অ্যাকশন ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্সসহ ১১ হাজার নিয়োজিত থাকবেন স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে।
শনিবার ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মা মুখোমুখি হবে বাবর আজম। এ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছে ক্রিকেট বিশ্ব। টিকিটও শেষ অনেক আগেই। এবার ম্যাচ ডে'তে নিরাপত্তা কেমন হবে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম।
ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে গুজরাট পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমান্ডোর কাঁধে। ম্যাচের আগের দিনই স্টেডিয়ামসহ পুরো আহামেদাবাদ শহর ঢেকে ফেলা হবে নিরাপত্তার চাদরে। আর ম্যাচ ডে'তে স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ জুড়ে নিয়োজিত থাকবে ১১ হাজার নিরাপত্তাকর্মী।
সিকিউরিটি অ্যারেঞ্জমেন্ট থাকবে কয়েক স্তরের। যেখানে ৪ জন সিনিয়র আইপিএস অফিসার ও ২১ জন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া তিনটি হিট টিম, একটি অ্যান্টি ড্রোন টিম ও বোম্ব স্কোয়াডের সদস্যরাও নিয়জিত থাকবেন।
একে তো হাইভোল্টেজ ম্যাচ, আবার পরদিন গুজরাটের সবচেয়ে বড় উৎসব নবরাত্রি পূজা। তাই নিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনার।
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএম মালিক বলেন, গেলো ২০ বছরে এমন কোনো হাইভোল্টেজ ম্যাচের সাক্ষী হয়নি গুজরাট। তাই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তায় যেনো কোনো কমতি না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এদিকে, যে সমর্থকদের জন্য এতকিছু, নানা জটিলতায় তাদের অনেকেই যেতে পারছেনা ভারতে। এখনও ভিসা পায়নি পাকিস্তানের অনেক সমর্থক। তবে, দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের জন্য আইসিসি ও বিসিসিআই'য়ের শরণাপন্ন হয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ। পিসিবি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, খুব শিগগিরই ভিসা পাবেন পাকিস্তানি দর্শক ও সাংবাদিকরা।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত