পাঁচ দিন আগে টিপুকে হত্যার কন্ট্রাক্ট করা হয়, গুলি করেন আকাশ: পুলিশ

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২২, ১৪:৫৬ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২

শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে হত্যার মূল শুটারের নাম মো. মাসুম ওরফে আকাশ। হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর তাকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, টিপু ও প্রীতি হত্যায় গ্রেফতার মাসুম আরও একাধিক মামলার আসামি। এই হত্যাকাণ্ডে তার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঢাকা শহরে অনেক দিন পর এমন শুটিং মিশনে হত্যা করা হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে।তিনি বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকাশ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।' “পাঁচ দিন আগে টিপুকে হত্যার জন্য কন্ট্রাক্ট করা হয়। হত্যার আগের দিন টিপুকে হত্যার জন্য কমলাপুর আইসিডি কনটেইনার এলাকায় সে ওঁৎ পেতে ছিল। কিন্তু সুযোগ পায়নি।"

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, 'আকাশ মোটরসাইকেলে এসে টিপুকে লক্ষ্য করে নিজেই গুলি করেছেন বলে জানান।'

তিনি বলেন, 'ঘটনার আগেরদিন কমলাপুর এলাকায় জাহিদুল ইসলামের অফিসের আশপাশে ২ সহযোগীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে রেকি করেন মাসুম। সেদিন জাহিদুলকে হত্যায় সফল না হওয়ায় তারা পরদিনও মোটরসাইকেল নিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন এবং সফল হন।'

ঘটনার পরদিন আকাশ জয়পুরহাটে চলে যান এবং সেখান থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপর তিনি বগুড়ায় চলে আসেন এবং বগুড়া পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।' 

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার আগেরদিন তিনি (মাসুম) মোটরসাইকেল ও একটি পিস্তল নেয়। এজিবি কলোনীতে টার্গেট করে হত্যা করতে। কিন্তু সেদিন না পেরে পরদিন গুলি করে হত্যা করে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত