পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে কী হয়?

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৪ |  আপডেট  : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩

ফাইল ছবি

ঘুমকে আমরা যত কমই গুরুত্ব দেই না কেন, আমাদের শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অনেক। রাতে ঘুম ভালো না হলে তা শুধু পরদিন আপনার মেজাজ খিটখিটেই করবে না, সেইসঙ্গে আপনার শরীরের ওপরেও ফেলবে মারাত্মক প্রভাব। সেজন্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে মনোযোগ দিতে বলেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে কী হয়-

১. অস্বস্তি ও মনোযোগের অভাব

রাতে যদি ঠিকভাবে ঘুম না হয় তাহলে সারাদিন শরীরে অস্বস্তিবোধ হতে থাকবে। সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্য তাই প্রতিদিন সঠিক পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের স্বল্পতা নানাভাবে ক্ষতি করবে আপনার। কাজের প্রতি মনোযোগ কমিয়ে দেবে। ফলে আপনি কোনো কাজই ঠিকভাবে মন দিয়ে করতে পারবেন না। তাই রাতে যেন পর্যাপ্ত ঘুম হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

২. মানসিক চাপ

সঠিক ঘুমের অভাব হতে পারে আপনার মানসিক চাপের কারণ। নিয়মিত যদি ঘুমের অভাব হতে থাকে তাহলে এ ধরনের সমস্যা আপনি নিজেই টের পাবেন। আর আগে থেকেই যদি এ ধরনের চাপে ভুগে থাকেন, সেক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। সাধারণভাবে দেখা গেছে আধো ঘুমের সমস্যা বা ছাড়া ছাড়া ঘুমের চাইতে মোট অপর্যাপ্ত ঘুম মন-মেজাজের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে।

৩. মাইগ্রেন বাড়তে পারে

যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তারা জানেন এটি কতটা যন্ত্রণাদায়ক। আপনার পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হলে তা ডেকে আনতে পারে মাইগ্রেনকে। সেইসঙ্গে বাড়তে পারে সাইনাসের সমস্যাও। তাই এ ধরনের ব্যথা এড়াতে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. ত্বকের ক্ষতি করে

ঘুমের অভাব হলে তা আপনার ত্বকের ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। কারও যদি দীর্ঘদিন ধরে ঘুমে অনিয়ম হয় তাহলে তার প্রভাব পড়ে তার ত্বকে। এর ফলে ত্বকের উপরে কালচে আস্তরণ পড়ে যায় এবং ডার্ক সার্কালের সমস্যা বাড়ে। সেইসঙ্গে বাড়তে পারে ব্রণের মতো সমস্যাও। এগুলো থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।

৫. পেটের সমস্যা

বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, আমাদের হজমক্ষমতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে অনিদ্রার অভ্যাস। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে হজম বিঘ্নিত হয়। সেখান থেকে দেখা দেয় পেটের সমস্যা। যেসব খাবার খাওয়া হয় তা ভালোভাবে হজম করার জন্য প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত ঘুমের। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

৬. স্মৃতিশক্তি লোপ

সঠিক পরিমান ঘুমের অভাবে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। বার বার ভুলে যাওয়া, কোন কাজ করেও ভুলে যাওয়া কিংবা না করেই করেছি মনে হতে থাকার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৭. বিভিন্ন রোগ

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব মানসিক ব্যাধিগুলির উপর প্রভাব ফেলে সাথে সাথে শারীরিক জটিলতাও তৈরি করে। কম ঘুম যেমন হৃদযন্ত্রের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের লক্ষন হতে পারে , বেশি ঘুমও হৃদযন্ত্র বিকলের কারণ হতে পারে। যারা দিনে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমান, তাদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি ৮৫ শতাংশ বেড়ে যায়। সচরাচর মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে গেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

 

সা/ই

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত