পররাষ্ট্রমন্ত্রী রচিত ‘বাংলাদেশের ৫০ সাফল্য সম্ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
প্রকাশ: ৫ জুলাই ২০২২, ১০:২৪ | আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:১৩
বাংলাদেশে'র বিগত ৫০ বছরের সাফল্যের গল্প এবং ভবিষ্যতের সামাজিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের রচিত নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
ঝুমঝুমি প্রকাশন কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের ৫০ সাফল্য ও সম্ভাবনা শিরোনামের বইটিতে ২৩টি লেখা রয়েছে, এর মধ্যে ১৮টি বাংলায় ও ৫টি ইংরেজিতে লেখা নিবন্ধ রয়েছে।
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পিএসসি সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন এবং এবি ব্যাংক লিমিটেডের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক আফজাল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বইটি উৎসর্গ করেন তার বড় ভাই ও সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিতকে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে লেখালেখির প্রতি সকলকে উৎসাহিত করে বলেন, এই পৃথিবী থেকে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে, কিন্তু শুধুমাত্র এটিই লেখা লেখি থাকবে।
বর্তমান সরকার কী করছে তা জনগণের জানা উচিত উল্লেখ করে ড. মোমেন আরও বলেন, এই বইটিতে তিনি নিবন্ধ গুলি সংকলন করেছেন এবং এগুলি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। দেশবাসী যাতে তাদের মাতৃভূমির বিগত ৫০ বছরে সাফল্যের জন্য গর্বিত হয় এজন্য বইটি প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের কূটনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বাধ্যবাধকতা, সীমাবদ্ধতা ও পছন্দ কোভিড-১৯ এর পর বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি, শেখ হাসিনার উন্নয়নের অনন্য নজির এবং একটি অদম্য জাতির মহাকাব্য এই বইটির কয়েকটি অধ্যায়ে রয়েছে।
প্রধন অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করলে দুই যুগেও সেতুর কাজ শেষ হতো না। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহার করায় আমাদের স্বপ্নের সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু যেমন বিশ্বে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে তেমনি নিরাপদও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক যদি সেতুতে অর্থায়ন করতো তাহলে তাদের মনমতো কাজ করতে হতো। ডিজাইন পরিবর্তন, টেকনিক্যাল সমস্যা, এখানে এই সমস্যা বলে তাদের মতামত চাপিয়ে দিতো। না করলে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করতো। এতে অনেক সময় অপচয় হতো।
মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে যেসব দেশ ও সংস্থা অর্থায়ন করে তাদের আমরা দাতা দেশ বা দাতা সংস্থা বলে থাকি। এটি ঠিক নয়। এসব দেশ ও সংস্থা আমাদের লোন দেয়, দান করেন না। এটি লাভসহ ফেরতযোগ্য। তাই তারা দাতা নয়; বরং উন্নয়ন সহযোগী। অথচ তাদের আমরা ভুল করে করে দাতা বলি, যা উচিত নয়।
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠুভাবে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করায় দেশ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বইটি রচনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং প্রকাশনা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত