পঞ্চগড় সীমান্তে শ্বাসরোধ করে চিতাবাঘ হত্যার অভিযোগ

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৫ |  আপডেট  : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৯

 পঞ্চগড়ের সীমান্তে বন্যপ্রানী চিতা বাঘ মৃত্যুর ঘটনায় বেশ তোলপাড় হয়েছে সর্ব মহলে। গত শুক্ররবার (২ফেব্রুয়ারি) ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভাইরাল হয়ে পড়া প্রথমে ফেসবুকে দেখা যায় আটোয়ারী সীমান্তের নাগর নদীতে একটি চিতা বাঘ আত্মরক্ষায় নদী থেকে উঠতে চেষ্টা করে। কিন্তু তার চারপাশে কয়েকজন মানুষ লাঠিশোঠা নিয়ে তাকে মারতে তাড়া করে। এরপর দেখা মেলে নিথর দেহে তার ছবি। মৃত চিতাটিকে নিয়ে নানা রকম প্রশ্নের জন্ম দেয়। কেউ বলে বিষ প্রয়োগে কেউ বলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে বাঘটিকে প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে এ ঘটনা তদন্তে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেদুল হাসান ঘটনার দিন জানান, এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে এ ঘটনার বাঘটিকে পোস্টমর্টেম করার জন্য বন বিভাগ আটোয়ারী প্রাণি সম্পদের শরানাপন্ন হয়। এবিষয়ে শনিবার ডা. জাহাঙ্গীর আলমস মুঠো ফোনে জানান, পোস্টমর্টেম এ কোন মেজর কিছু পাওয়া যায়নি। শরীরে মারপিটের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া গেলে বাঘটি মারা যাওয়ার মূল কারণ জানা যাবে। আমরা পোস্ট মর্টেম রিপোটের কাগজপত্র সহ সব কিছু বন বিভাগকে দিয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে বিষ প্রয়োগের বাঘটি মানসিক ও শারীরিক ভাবে দূর্বল ছিল। তা নাহলে বাঘটি এতোটা নাভার্স ছিল কেনো! সে কারনেই হয়তো তার এ ভাবে মারা যায়। ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাঘ কি মানুষকে সেভাবে ভয় পাওয়ার কথা নয়। সে তো হিংস্র। তাকে আঘাত করা সহজ নয়।

এদিকে ঘটনাস্থল আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের দাড়খোর এলাকা পরিদর্শন করেন বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসিত মল্লিক সহ ৩ সদস্য টিম।

অসিত মল্লিক বলেন ‘ আমরা যতটুকু বুঝলাম বাঘটিকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে। তাছাড়া যারা জাল ফেলে বাঘটিকে ধরেন, তারা জাল ফেললে তখন বাঘটি তখ পানিতে লাফিয় পড়ে। এরপর বাঘটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। চিতা বাঘটি পানিতে নেমে গেলে তাকে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলা হয়। তখন পানির নীচে রাখলে ২-৩ মিনিট রাখলে বাঘটি মারা যায়। যেহেতু শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। চিতাটিকে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে পানিতে ফেলে মেরে ফেলা হয়েছে এমন প্রমাণ পেয়েছি।

পঞ্চগড় সদর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধু সদন বর্মণ জানান, প্রাথমিক ভাবে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে কোন ইনজুরী পাওয়া যায়নি। ভিসেরা রিপোর্টের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব কিছু ঢাকায় পাঠাচ্ছি। ওই রিপোর্ট আসলে আমরা তা সকলের মাঝে জানিয়ে দিবো।

 

 

সান
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত