পঞ্চগড় সীমান্তে এবারো মিলন মেলা হলোনা 

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪২ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩০

পঞ্চগড়ে কাঙ্খিত মিলন মেলা হলোনা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এটি হয়ে আসছিল।পহেলা বৈশাখে এই মিলন মেলা হয় ‘কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এবার তা আর হয়ে ওঠেনি। এটি হলে মূলতঃ দুই বাংলা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মাঝে দেখা সাক্ষাত হতো। উভয়দেশের আত্নীয় স্বজনরা সীমান্তের কাঁটা তারের দুপাশ দিয়ে তাদের কথা ও ভাব বিনিময় করতেন।বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকার মানুষের ঐতিহ্য সীমান্তের কাটাতারে দুই বাংলার মিলনমেলায় পরিনত হতো। এ জেলার বাইরের  মানুষও আসতেন।অথচ নানা কারণে এবার বসছেনা এই মেলা। 

এদিকে শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি'র সেকেন্ড ইন কমান্ড উপ অধিনায়ক (টুআইসি) মেজর রিয়াজ মুর্শেদ ও নীলফামারী ৫৬ বিজিবির হওয়ায় ৫৬ বিজিবি'র (সিও) অধিনায়ক লে. কর্ণেল আসাদুজ্জামান হাকিম মিলনমেলা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিজিবি জানায়, গেল বছরের মত এই মিলন মেলা নিয়ে এবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও প্রশাসন থেকে কোন নির্দেশনা পাওয়া যায় নি। তাই এবারও বসছেনা সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা। এর আগে বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২০১৯ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বছর পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার কাঁটাতারের এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ নিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মত বন্ধ থাকছে। সাধারণত বৈশাখের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন সীমান্তে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে পঞ্চগড়ের অমরখানা, শুকানি, মাগুরমাড়ি ও ভূতিপুকুর সীমান্তসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টের কাঁটাতারের পাশে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দুই বাংলার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বলা যায়, বৃহত্তর দিনাজপুরের ঠাকুরগাওঁ-দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার বসবাসরত নাগরিকদের অনেক আত্নীয়-স্বজন রয়েছে ভারতের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়াও রংপুর ও নীলফামারী জেলায় বসবাসরত অনেক মানুষও ছুটে আসেন তাদের আত্নীয় স্বজনদের সাথে দেখা করতে। এ বার ও তা হলো না।    

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত