পঞ্চগড় আদালতে ঠাকুরগাঁয়ের সাবেক এসপি মনিরুজ্জমান ও এস আই সহ ১২ জনের নামে মামলা
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪০
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের সাবেক এক বিজিবি সদস্যকে গুম করার উদ্দ্যোশে তুলে নিয়ে মামলায় ফাসানো, নগদ অর্থলুট ও আরো ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে উঠেছে। ভূক্তভোগী সাবেক এই বিজিবি সদস্য কাইয়ূম উদ্দীন বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ আমলী আদালতে ঠাকুরগাঁয়ের সাবেক পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১০/ ১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পরে আদালত মামলার শুনানী শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য র্যাব ১৩ কেন নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের জন্য ২৪শে নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।মামলার আসামীরা হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক এসপি মনিরুজ্জামান (৪৫) ঠাকুরগাঁও থানার সাবেক এসআই আনিসুর রহমান আনিস (৪২), ডিবির সাবেক এসআই নবিউল ইসলাম, ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা ইউসুফ আলী (৫৯), রেখা রাণী (৩৮), জাহানারা (৪৫), মোস্তফা, বুলবুল, হাসিবুল, হুদুল মোহাম্মদ, সামিউল ইসলাম, ওবায়দুল হক, সাদেকুল ইসলাম সহ অজ্ঞাত আরো ১০ /১২ জন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ভূক্তভোগী সাবেক এই বিজিবি সদস্য কাইয়ূম উদ্দীন ২০১৯ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারী বিকেলে দেবীগঞ্জের ফুলবাড়ি জনতা ব্যাংক থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যবসায়ীক উদ্যেশে তুলে উপজেলার নতুনহাট এলাকায় তার ব্যবসা স্থলের পাশের একটি সড়কের উপরে মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন। এসময় ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই আনিসুর রহমান ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল নিয়ে তার গতিরোধ করেন। পরে তারা তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এসময় তারা কাইয়ূমের সাথে থাকা সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে আরো ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। পরের ২৭শে ফেব্রুয়ারী ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার সদর থানার ওসির রুমে যান। সেখানে গিয়ে এই বিজিবি সদস্যকে ২০ লাখ টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। পরে টাকা দিতে রাজী না হলে থানায় বেধরক মারধর করা হয়। চাঁদা না দেয়ায় এক হিন্দু নারীকে ধর্ষনের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে একটি মামলায় ফাসানো হয়। পরে জামাতের উপর করা একটি মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে কিছু দিন জেলখাটার পরে জামিনে মুক্ত হন বিজিবি সদস্য কাইয়ূম। দীর্ঘদিন ধরে মামলায় জেল খেটে ব্যবসায়ীক ও শারিরীক, মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন বিজিবি সদস্য কাইয়ূম। পরে এনিয়ে মামলা করতে চাইলেও নানা বাঁধার সম্মুখীন হন তিনি। তবে সরকারের পট পরিবর্তনে নিজের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের বিচার চেয়ে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলার বাদী কাইয়ূম বলেন, আমি এই চাঁদাবাজদের খপ্পরে পরে সর্বশান্ত হয়েছি। আমার ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি পথে বসে গেছি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করছি। যাতে তারা এরকমের কাজ আর কারো সাথে করতে না পারে।
মামলার আইনজীবি আকবর আলী বলেন, আমার মক্কেলকে নিরীহ পেয়ে আসামীরা নির্মম অত্যাচার করে। তাকে বিভিন্ন মামলায় ফাসানোর মত অপরাধ করে চাঁদা দাবী করেন। পরে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত র্যাব ১৩ কে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। আমি আশা করি আমার মক্কেল এই মামলায় সুষ্ঠু বিচার পাবেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত