পঞ্চগড়ে সার সঙ্কট দিশেহারা কৃষক

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২৭ |  আপডেট  : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৫১

পঞ্চগড়ে সার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। খোলা বাজারে সার পাওয়া না যাওয়ায় কৃষকের র্দীঘ লাইন ডিলারের দোকানগুলোতে। তালিকা অনুযায়ি প্রতি কৃষক পাচ্ছেন তিন বস্তা সার। জেলা সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোঃ সাবেত আলী জানান ফলনের আশায় কৃষকরা ফসলি জমিতে বেশি সার দেওয়ায় চাহিদা বাড়ছে।

চলছে কৃষি আবাদের ভরা মৌসুম। কৃষি কর্মকর্তারা জানান এখন ভূট্রা, আলু, গম, সরিষা ,পেয়াঁজ, মরিচ চিনা বাদাম, মিষ্টি আলু ও ধনিয়া চাষের ভরা মৌসুম।সদর উপজেলার পঞ্চগড় ইউনিয়নের ভাবরঙ্গি এলাকার জাতীয় পূরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, আমি পৌনে দুই বিঘা চিনা বাদাম, এক বিঘা জমিতে ভূট্রা লাগিয়েছি। এছাড়া শাক-সবজি লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুত করেছি। তবে সারের অভাবে সেই শাক সবজি লাগাতে পারছিনা। বাজারে চাহিদা অনুযায়ি যদি খোলা সার পাওয়া যেতো এ সমস্যা কেটে যেতো। যা পেয়েছি তা চাহিদা অনুযায়ি হচ্ছেনা। সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের গলেহা এলাকার কৃষক দুলাল বলেন ডিলারের দোকানে সকাল ৭ টায় এসেছি এখন একটা বাজে সার পাইনি। লাইনে আছি। আমার কম করে হলেও ১৫ বস্তা সার প্রয়োজন। পাবো তিন বস্তা। একই এলাকার কৃষক শাহজাহান আলী বরেন ‘ আমি ফজরের নামাজ পড়ে ডিলারের দোকানে সার নিতে এসে লাইনে আছি। পাবো তিন বস্তা আমার সার প্রয়োজন ৮-১০ বস্তা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে ইউরিয়া সারের মোট চাহিদা ৬ হাজার ৮৯৭ মেট্রিক টন। পাওয়া গেছে ৪ হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন। টিএসপি মোট চাহিদা ৩ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন। পাওয়া গেছে ১ হাজার ৭১৩ মেট্রিক টন। এমও পি চাহিদা ৫ হাজার ৯৩৪ মেট্রিক টন। পাওয়া গেছে ৩ হাজার ৫৯৯ মেট্রিক টন। ডিএপি মোট চাহিদা ৩ হাজার ৫৩ মেট্রিক টন। পাওয়া গেছে ২ হাজার ১৪৯ মেট্রিক টন। জেলায় বিসি আইসি ও বিএডিসির মোট ডিলার সংখ্যা ১৬০ জন।

পঞ্চগড়ের বিশিষ্ট সার ডিলার মো. আব্দুল হান্নান শেখ সার বরাদ্দের অপ্রতুলতা রয়েছে এমন মন্তব্য করে বলেন নন ইউরিয়ার চাহিদা বেশি। সদর উপজেলার গলেহা বাজারস্থ সার ডিলার মেসার্স মেখ সাঈদ হোসেন এর বিক্রয় প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম বলেন সারের চাহিদা বেশি তাই অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে কৃষকেরা চিন্তামুক্ত থাকতে পারে। এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে একজন উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন ‘ চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম তা ঠিক। তবে মিটিং করে অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোঃ সাবেত আলী বলেন, সার সঙ্কট নেই‘ অধিক উৎপাদনের হবে মনে করে কৃষকরা যেমন এককেজির জায়গায় ২-৩ কেজি সার দিয়ে থাকেন। তাদের বোঝানো হচ্ছে তারা কিছুতেই বুঝতে চায়না। তাই চাহিদা বেশি। তবে সারের অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে সরকারের নিকট পত্র দেওয়া হয়েছে। আশা করি বরাদ্দ পাবো।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত