পঞ্চগড়ে সবজি উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য ৩০ কোটি টাকার লাউ  উৎপাদনের সম্ভবনা

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৪৪ |  আপডেট  : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৫

শীত মৌসুমে প গড়ের উৎপাদিত লাউ রপ্তানি হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।সীমান্ত অঞ্চল পঞ্চগড় জেলায় বিশাল পরিমান জমিতে আবাদ হচ্ছে এ লাউ। দফায় দফায় এই লাউ তুলে বাজারজাত ও করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩০কোটি টাকার লাউ উৎপাদিত হবে বলে জানায় কৃষি বিভাগের হিসাব মতে জানা গেছে। অর্থনীতির সূচকে সফল্যতাও আসছে।কম খরচে অধিক লাভ হচ্ছে কৃষক এই পণ্যটিতে।

পঞ্চগড় জেলার বলতে গেলে এখন আর পতিত জমি নেই বললেই চলে। চলতি রবি মৌসুমে সব সবজির সাথে এই লাউ আবাদ ও করেছেন কৃষকরা। নিয়মানুসারে কৃষক জাংলি তৈরি করে লাউ আবাদ করেছেন। সাথে শাকও বিক্রি হচ্ছে‘ পূরণ হচ্ছে শাকের চাহিদাও। এককেজি লাউ শাক বর্তমানে ৩০ টাকা কেজি।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ও হাড়িভাসা ইউনিয়ন ছাড়াও দেবীগঞ্জ, বোদা, উপজেলা আটোয়ারী সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা মুলা, শসা,করলা মরিচ ফুলকপি ওপাতা কপি সহ সব ধরনের পাশাপাশি লাউয়ের ও আবাদ করেছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলায় চলতি রবি মৌসুমে ৪৭৫ হেক্টর জমিতে এই লাউ আবাদ করা হয়েছে। বিঘা হিসেব মোট জমির পরিমান ৩ হাজার ৫৬২।এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩০ হেক্টর, আটোয়ারী উপজেলায় ৮৫ হেক্টর, তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৬০ হেক্টর, বোদা উপজেলায় ৭০ ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৩০ হেক্টর।

দেবীগঞ্জ ও সদর উপজেলায় লাউয়ের আবাদ বেশি হয়। দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাঈম মোর্শেদ বলেন‘ কৃষি উৎপাদন হিসেবে রবি খরিপ-১ ও খরিপ-২ একটি আবাদের মৌসুম হলেও এখন সারা বছরেই এই লাউ আবাদ হচ্ছে। শীত মৌসুমে বিঘায় গড়ে ৬ মেট্রিক টন লাউ উৎপাদন হয়ে থাকে।আর গ্রীস্মকালিন সময় বিঘায় আড়াই থেকে তিন মেট্রিক টন লাউ উৎপাদন হয়ে থাকে। 

পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের কামারপাড়া এলাকার কৃষক আব্দুল মজিদ জানান তিনি আধা বিঘা জমিতে জাংলি দিয়ে লাউ আবাদ করেছেন। তিনি প্রায় ১০ দফায়  তিন হাজার লাউ তুলেছেন। বাজার অনুযায়ি ১৫ ও ২০ টাকা আবার কখনো এক পিস লাউ ২৬ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। কৃষক মজিদ বলেন ‘জলা রোগ হলে কীটনাশক দিতে হয়।তার আধা বিঘায় খরচ হবে ৬ হাজার টাকা। তিনি একদিন পর পর লাউ তুলেছেন।এতে কোন কোন দিন ১৫০ পিস কখনো ২০০ পিস পর্যন্ত লাউ পেয়ে থাকেন। মজিদ জানান, তার লাউ এ আসবে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা।

দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলি  ও বোদা উপজেলার মাড়েয়া এলাকার কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা স্থানীয় বাজারে পিস দরে এই লাউ বিক্রি করেন। তারা বলেন বেশির ভাগ ঢাকার ব্যবসায়িরা এসে এই লাউ নিয়ে যায়।   

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দীন বলেন ‘এটি এখন সারা বছরের ফলন।শীত মৌসুমে আবাদ বেশি হয়। গ্রীস্মকালে আবাদ কম হয়। তবে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে পাশাপাশি চাহিদা পূরণ হচ্ছে।


 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত