পঞ্চগড়ে বিনা খরচে ডা. মোস্তফাজ্জামান চৌধুরী কর্তৃক তিন শতাধিক অপারেশন

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০০ |  আপডেট  : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২৫

সরকারি চিকিৎসা সেবায় এক অভূতপূর্ব নজির স্থাপন করেছেন পঞ্চগড়ের স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জ্জামান চৌধুরী। তিনি স্বউদ্যোগে পঞ্চগড়ে যোগদান করার পর এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। ফলে জেলার উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুল এখন অপারেশন কার্যক্রম পুরোপুরি সচল হয়েছে।

এদিকে বুধবার(১৭এপ্রিল) তিনি আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছয়টি সিজার ও দুটি হারনিয়া অপারেশন করেছেন। এতে এসব রোগীরা ও তার পরিবারের লোকজন অত্যন্ত খুশি। ছয় সিরাজিয়ান মা ও তাদের সন্তানরা সুস্থ্য আছেন। এছাড়া খুশি অন্য দুজন হারনিয়া অপারেশন রোগী ও তাদের পরিবার। আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুব স্বাভাবিক ভাবেই সিভিল সার্জন ও তার সহযোগী চিকিৎসকরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই আটটি অপারেশন সাকসেস করেছেন। সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফাজ্জামান চৌধুরী খুব পরিছন্ন , সুনিপুণ ও মনোরম পরিবেশে আটটি অপারশেন করেছেন। তার সহযোগী ছিলেন এসেথেসিয়ায় ডা. তারেক আনাম ও সাথে ছিলেন আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুমায়ন কবীর সহ কর্মরত অন্যান্য চিকিৎসক ও র্নাসরা।

আটোয়ারী স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডা. মোস্তফাজ্জামান চৌধুরী এ পর্যন্ত আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেএক্সে ৭০ টি সিজার ও ১৯টি জেনারেল সার্জারী সম্পন্ন করেছেন। সামনের দিনগুলোতে রোগী থাকলে তিনি আরো এমন অপারেশন করতে আগ্রহী। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফাজ্জামান চৌধুরী ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পঞ্চগড়ে যোগদান করেন। এরপরেই তিনি মনোযোগী হয়ে ওঠেন সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে বিনা খরচে অপারেশন করার। এতে তিনি সফল হয়ে যান। জেলার এই অন্যতম স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একে জেলার পাচ উপজেলায় শুরু করেন নানা রকম অপারেশন কার্যক্রম। এ পর্যন্ত জেলার পাচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০৬ টি সিজার ও ১০৬ টি জেনারেল অপারেশন করেছেন ডা. মোস্তফা জ্জামান চৌধুরী ।

পঞ্চগড়ের সদর , আটোয়ারী ,বোদা, তেতুঁলিয়া ও দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেএক্সে একের পর এক অপারেশন কার্যক্রম চালিয়ে যান। আটোয়ারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন ‘এ ধরনের মহতী উদ্যোগ সবার জন্য মঙ্গল। এতে অস্বচ্ছল ও গরীব মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে পিছিয়ে পড়া ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠি আর্থিক ভাবেও লাভবান হবে। কারন বাইরে অপারেশন করলে তাদের অনেক ব্যয়ভার ও হয়রানী হতে হতো। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ‘ আমি এসে ওটি চালু করেছি ‘ সচল করেছি। এটা অব্যাহত থাকবে। আমি চলে গেলেও অন্যরা এসে এটা করতে পারে। কেনো করবে না। সব কিছুর সুবিধা আছে। এসব অপারেশনে সব খরচ সরকারের মাধ্যমে হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের সুযোগ আছে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়ার। 

এ নিয়ম সরকার করে রেখেছে। এটা সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত