পঞ্চগড়ে ধর্ষণের পর নারী স্তন কেটে হত্যা, চুরি করতে গিয়ে ধরা খেল আসামী

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১৮:৪২ | আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ২২:১৪

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে কিসমত রেলঘুন্টি এলাকায় ধর্ষনের পর এক অজ্ঞাত তরুনীর (২৮) স্তন ও যৌনাঙ্গ কেটে হত্যার করেছিল। পরিচয় লুকাতে ইট দিয়ে মুখ থেতলে রেল লাইনে রেখেছিল। ওই ক্লুলেস ধর্ষিত ও হত্যার শিকার তরুনীর পরিচয় আজো সনাক্ত হয়নি।শনিবার (৮ মার্চ) ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক যুবকের মোবাইল ফোনে পাওয়া ভিডিওর সূত্র ধরেই বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকান্ডের রহস্য। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কারযালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকান্ডের বিস্তাারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ধর্ষন ও হত্যাকারী রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩) পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাঝগ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে। গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওই তরুনীর সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর আটোয়ারীর কিসমত স্টেশনে কৌশলে নামিয়ে পাশের এলাকায় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে, আঘাত করে হত্যা করে। পরদিন ১৪ জানুয়ারি আটোয়ারী উপজেলার কিসমত এলাকায় রেললাইনে অজ্ঞাত পরিচয় ওই নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। তবে খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁয়ের ভুল্লি এলাকার একটি পরিবার তাদের মেয়ে মনে করে মরদেহ গ্রহণ করে দাফন সম্পন্ন করেন।
এদিকে গত ৮ মার্চ শনিবার দিবাগত রাতে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর এলাকার তাহিরুল ইসলামের বাড়িতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সাজ্জাদ। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উত্তম মাধ্যম দেয়। এসময় তার মোবাইলে এক নারীকে বেধে রাখা ও নির্যাতনের ভিডিও দেখতে পায় তারা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অজ্ঞাত ওই নারীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। সামাজিম মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সে জানায়, তার মাকে নিয়ে গালি দেওয়ায় তাকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে কেটে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহ ফেলে দেয় রেললাইনে।
তার এমন স্বীকারোক্তি পর স্থানীয়রা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার বিরুদ্ধে আটোয়ারী থানায় ধর্ষণের পর হত্যা ও চুরির দুটি মামলা হয়েছে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতেও সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারীর সঠিক এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। আমরা তার পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তবে তাকে নৃশংসভাবে হত্যার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে স্বীকার করেছে। আসামীর সীকারোক্তি মতে একাধিকবার ধর্ষণের পর ওই নারী বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে এবং তার মাকে নিয়ে গালাগালি করায় তাকে হত্যা করে সাজ্জাদ। তবে ধর্ষিত ও হত্যার শিকার ওই নারীর পরিচয় এখনো সনাক্ত হয়নি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত