পঞ্চগড়ে জামানত হারালেন বর্তমান চেয়ারম্যান ডাবলুসহ ১৩ প্রার্থী

  কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১১:০৮ |  আপডেট  : ২ মে ২০২৫, ০৯:৫৭

পঞ্চগড়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে জামানত হারানোর ছড়াছড়ি। পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া, সদর ও আটোয়ারী উপজেলায় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ ১৩ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে তেতুঁলিয়া উপজেলায় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ তিন জন চেয়ারম্যান ও ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী, সদর উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং আটোয়ারী উপজেলায় তিন জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারান।

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে প্রদত্ত মোট ভোটের ১৫ ভাগের একভাগ ভোট নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীকে পেতে হবে তা না হলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত বলে গণ্য হবে। তেতুঁলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন, তেতুঁলিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু এবং কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের বেয়াই (ছেলের শ্বশুড়) আব্দুল লতিফ তারিনএবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের প্রদত্ত মোট ৬৯ হাজার ৩৬২টি ভোটের মধ্যে ১৫ শতাংশ হারে এই দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ১০ হাজার ৪০৪টি ভোট পেতে হতো। কিন্তু কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৮টি ভোট এবং আব্দুল লতিফ তারিন কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৩৯টি ভোট এবং কাজী আনিসুর রহমান দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৯০৪টি ভোট। তেতুঁলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন আবু সাইদার রহমান, আব্দুস সাত্তার, উপজেলা কৃষক লীগ নেতা কবির হোসেন, আব্দুল লতিফ খান, এবং আশরাফ আলী। নিয়মানুযায়ি নির্বাচনের প্রদত্ত মোট ৬৯ হাজার ৩৪৮টি ভোটের মধ্যে ১৫ শতাংশ হারে এই ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ১০ হাজার ৪০২টি ভোট পেতে হতো। কিন্তু আবু সাইদার রহমান তালা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪৬টি ভোট, আব্দুস সাত্তার বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ২০৬টি ভোট এবং কৃষক লীগ নেতা কবির হোসেন বই প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮৯টি ভোট, আশরাফ আলী উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩১০টি ভোট এবং আব্দুল লতিফ খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৮টি ভোট।

তেতুঁলিয়া উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন। এদিকে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র রায় জামানত হারিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের প্রদত্ত মোট ৫২ হাজার ৩৪৭টি ভোটের মধ্যে ১৫ শতাংশ হারে এই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৭ হাজার ৭৫৪টি ভোট পেতে হতো। কিন্তু সুমন চন্দ্র রায় আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১টি ভোট। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন।

এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাসিমা খাতুন শিখা জানানত হারিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের প্রদত্ত মোট ৫২ হাজার ৩৪৭টি ভোটের মধ্যে ১৫ শতাংশ হারে এই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৭ হাজার ৭৫৪টি ভোট পেতে হতো। কিন্তু নাসিমা খাতুন শিখা ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩টি ভোট। সদর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন। এছাড়া আটোয়ারী উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন, ফরিদা ইয়াসমিন ও শেফালী পারভীন এবং মনোয়ারা বেগম। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের প্রদত্ত মোট ৫৮ হাজার ১৯৮টি ভোটের মধ্যে ১৫ শতাংশ হারে এই তিন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৮ হাজার ৭৩০টি ভোট পেতে হতো। কিন্তু ফরিদা ইয়াসমিন সেলাই মেশিন প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ২০১টি ভোট ও শেফালী পারভীন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৩৫টি ভোট এবং মনোয়ারা বেড়ম হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৬৬টি ভোট। আটোয়ারী উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত