পঞ্চগড়ে খরচ কমাতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান রোপনের  শুভ উদ্বোধন 

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫১ |  আপডেট  : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৭

পঞ্চগড় সদর উপজেলায়  কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট নিরসন, সময় অপচয় রোধ ও অতিরিক্ত খরচ রোধে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। কৃষি অধিদপ্তরের আওতায় এ কর্মসূচীর  শুভ সূচনা হয়। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের ঘাটিয়ার পাড়া গ্রামের ফসলি মাঠে রাইসপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে ধানের চারা রোপণ করে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়। ফিতা কেটে এর শুভ উদ্বোধন  করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী।এর আগে, এ উপলক্ষে আয়োজিত এক কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন জেলা প্রশাসক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই সমাবেশের আয়োজন করে।পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) সুবত চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) বাসুদেব চন্দ্র বর্মন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুন্নবী, কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান প্রমূখ।

জানা গেছে, ধান চাষাবাদে নতুন ও সহজ একটি পদ্ধতি হলো ‘সমলয়’। এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত, সবই এক সময়ে একযোগে করা হবে। স্বল্প মানুষের সাহায্যে কাজটা করবে যন্ত্র। জমির অপচয় রোধে এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো হয় ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হয়। তারপর রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে রোপণ করা হয় ধানের চারা। একটা ট্রান্সপ্ল্যান্টার এক ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে, এতে শ্রমিকের খরচ বেঁচে যায়। চারা লাগানো যায় একই গভীরতায় সমানভাবে। এছাড়া একই সময় রোপণ করায় নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান পাকেও একই সময়। মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটা ও মাড়াই করা যায়।পঞ্চগড় সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুন্নবী জানান, সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এই পদ্ধতিতে ঘাটিয়ারপাড়া গ্রামের ৫০ একর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত