মসলার বাজারে গিয়ে হতাশ ক্রেতারা

পঞ্চগড়ে কমছেনা আদা ও রসুনের দাম            

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৭ জুলাই ২০২৪, ১৯:৪৫ |  আপডেট  : ৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৬

মূল্যস্ফীতির দৌরাত্ন্য লাগাম ছাড়া। এক সময় দেশি আদা ও রসুন হাতের নাগালে ছিল। বাজারে ফেরি করে এই রসুন বিক্রি করতো ভ্রাম্যমান খুচরা ব্যবসায়িরা। রসুন গত দুই-তিন বছর আগে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা ও আদা ৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যেতো।

অথচ এই পন্যটি দুটির দাম লাগাম ছাড়া। যার মূল্য বাড়তে বাড়তে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এমন দাম বেড়েছে ভ্রাম্যমান খুচরা ব্যবসায়িদের আর চোখে পড়ে না। বাজারে গিয়ে দেখা যায় রসুন এখন ২০০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা কেজি। আদা ৩০০ টাকা কেজি।অন্যদিকে পেঁয়াজ ও আর কাঁচামরিচের ঝাঁঝ তো আছেই। কাচাঁমরিচ ২০০ ও পেয়াঁজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। 

অপরদিকে আলুর বাজারে গিয়ে তো দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা। কারন চালের চেয়ে আলুর দাম বেশি। হিমাগারে হাজার হাজার টন আলু অথচ দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। খুচরা বাজার কাডিনাল কেউ ৫৫ কেউ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছে।

এসব নিত্যপণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে গত প্রায় এক মাস ধরে পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টির অজুহাতে অন্যন্য কাচা সবজরি দামও বেড়েছে।পাশাপাশি সিন্ডিকেটের তেলেসমাতিতে ডিমের বাজার লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতি হালি ডিম এখন ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কয়দিন আগে ৫৫ টাকা হালি বিক্রি হয়।

এদিকে জিরার দাম আকাশ ছোঁয়া। প্রতিকেজি জিরা এখন ৮০০ থেকে ৭২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেখা যায় গত তিন বছরে কেয়ক দফায় বেড়েছে জিরার দাম। ২৪০ টাকা কেজি দরের জিরার দাম বাড়তে বাড়তে নাগালের বাইরে চলে গেছে। অথচ গত বছর ৪০০ টাকা কেজি দরে ও পাওয়া যেতো।

এছাড়া সাদা ও কালো এলাচের দাম বাড়তে বাড়তে আকাশ কুসুম হয়ে গেছে। ৭০০ টাকার সাদা এলাচ এখন ৩২০০ টাকা কেজি। যা গত বছর ১২০০ থেকে ১৭০০ টাকায় কিক্রি হয়েছে। কালো এলাচের দাম ও একই রকম। বাড়তে বাড়তে বাড়তে এককেজি কারো এলাচ ২৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গালামাল ব্যবসায়ি জানান, মসলার দাম অনেকটাই বেড়েছে। আমরা বেশি দামে এনে এ দামে বিক্রি করি।পঞ্চগড় বাজারে আসা মাগুড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন‘ আমি একজন প্রান্তিক কৃষক। এখন ৫০ টাকার নীচে গরম মসলা নিতে গেলে লজ্জা লাগে। আগে ২০ টাকায় গরমি মসলা পাওয়া যেতো।  

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত