নেতৃত্ব পাওয়া গর্বের ও আনন্দের: শান্ত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:০৯ |  আপডেট  : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:১৬

বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই নাজমুল হোসেন শান্তর মধ্যে নেতৃত্বগুণ ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে সেই সামর্থ্যও দেখিয়েছেন তিনি। এবার তার সামনে সুযোগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়ার। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অধিনায়ক এই টপ অর্ডার ব্যাটার। সিরিজ হারের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা শান্তর কাছে এই দায়িত্ব চ্যালেঞ্জের চেয়ে গর্ব ও আনন্দের।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে বিশ্রামে ছিলেন এশিয়া কাপে চোটে পড়া শান্ত। এই সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান না খেলায় প্রথম দুই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন লিটন দাস। শেষ ম্যাচে তিনিও বিশ্রামে থাকায় শান্তকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশের ১৬তম ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মঙ্গলবার টস করতে নামবেন তিনি।

এমন দায়িত্বের সামনে রোমাঞ্চে বুঁদ হয়ে আছেন শান্ত, ‘আমার মনে হয় যে ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে এটা অনেক গর্বের ব্যাপার। আমার পরিবারের সদস্যের জন্যও অনেক গর্বের। কাজেই আলহামদুল্লিলাহ, ক্রিকেট বোর্ড এই সুযোগটা তৈরি করে দিয়েছেন, আমি খুবই রোমাঞ্চিত এবং ইনশাআল্লাহ কালকে উপভোগ করবো।’

২০১৭ সালে নিউ জিল্যান্ডে সফরে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন শান্ত। কয়েকজনের চোটে পড়ায় হুট করেই অভিষেক হয় তার। লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা শান্ত একদিন স্থায়ী নেতৃত্ব পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, ‘ভ্রমণের কথা যেটা বলি, শুরু থেকে খুবই ভালো যাচ্ছে। এখনও অনেক দূর যাওয়া বাকি। উপভোগ করেছি। প্রত্যেকটা সময় উপভোগ করেছি। ভালো সময় বলেন বা খারাপ সময়। প্রত্যেকটা সময় উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। এবং ভবিষ্যতে যদি দলের হয়ে ওই সুযোগ আসে, দেশের হয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার; অবশ্যই চেষ্টা করবো। এটা আসলে আমার মনে হয় প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন যে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। ভবিষ্যতে যদি আবার সুযোগ আসে, আবার ভালোভাবে করার চেষ্টা করবো।’

শেষ দুই সিরিজে নিউ জিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এবার প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচ জয় পায় সফরকারীরা। সোমবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জিতলেই সিরিজ খোঁয়াবে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অধিনায়কত্ব করা কতটা চ্যালেঞ্জের। শান্ত অবশ্য ইতিবাচক কথাই জানালেন, ‘চ্যালেঞ্জ না, আমার কাছে মনে হয় আনন্দের। খুব ভালো লাগছে এমন সুযোগ পাওয়াটা এবং এমন অবস্থায় আমাদের টিম আছে, সামনে ওয়ার্ল্ড কাপ। এই জায়গায় ব্যক্তিগতভাবে যদি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি, ম্যাচটা আমার ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের টিম একটা ভালো অবস্থায় আছে।’

আফগানিস্তান সিরিজের পর এশিয়া কাপে অভিজ্ঞতা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও এখন পর্যন্ত ভালো ফল করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই অবস্থায় মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটিতে জয় কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শান্ত বলেছেন, ‘যে কোনও সময় জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, দেশের হয়ে খেলা অনেক গর্বের। তো দেশের হয়ে যখন আমরা ম্যাচ জিতবো, এটা আমার দেশের জন্যই ভালো হবে। তো আমার মনে হয় যে, হ্যাঁ সামনে বিশ্বকাপ আছে। কিন্তু এই ম্যাচটা যদি আমরা জিতি, তাহলে তো টিমের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকবে। তবে খারাপ ফল হলে, এটা যে খুব বেশি বিশ্বকাপে প্রভাব ফেলবে তা কিন্তু নয়। সুতরাং প্রত্যেকটা ম্যাচ আমরা জেতার জন্য খেলি এবং খেলবো।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত