নূর হোসেনের আত্মত্যাগে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৪৮ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নূর হোসেনসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। সর্বস্তরের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ফলে স্বৈরাচারী সরকারের পতন আরও ত্বরান্বিত হয়েছিল।

আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এ দিবসে  শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন  নূর হোসেনসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদকে।

শেখ হাসিনা বলেন,  ১৯৮৭ সালের এই দিন যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন তার বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নূর হোসেন আমার গাড়ির সঙ্গে হাঁটছিল, মিছিলটি যখন জিরো পয়েন্টে পৌঁছে তখন স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিল লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা মারা হয়। এরপরই গুলি করা হয়। সে গুলিতে নূর হোসেন ও বাবুল নিহত হয়। এছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহীদ হন। তাদের এ মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। সর্বস্তরের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। এতে স্বৈরাচারী সরকারের পতন আরও ত্বরান্বিত হয়।’

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন-সংগ্রামে আরও নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। জনগণ ফিরে পায় ভোট ও ভাতের অধিকার।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে নূর হোসেনসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত