নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব না: কাদের

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৮ এপ্রিল ২০২২, ১৬:১৪ |  আপডেট  : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮

দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব না। আইন অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। তবে আমরা প্রত্যাশা করি, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ‘নিজেদের অপকর্ম থেকে রেহাই পেতে সরকার বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে’। গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

‘বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই মূল বিবেচ্য বিষয়’ দাবি করে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশে আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কোনও প্রভু নেই। দেশের মানুষের কল্যাণ কিংবা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপসহীন মনোভাব পোষণ করায় শেখ হাসিনাকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। তাদের নেতা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশি জীবনযাপন করছে।’

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনও কোনও দেশের সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকায় তাদের দূতাবাস খোলার আগেই বিএনপি নেতারা ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টাও করেছে বিএনপি। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজশে যেকোনও উপায়ে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়।’

আওয়ামী লীগ যেকোনও উপায়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যেকোনও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারও কাছে ধরনা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি বরাবরই হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করেনি।’

বিএনপির এই অপরাজনীতির কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের ফল। কিন্তু গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপরাজনীতি শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের বিপরীতে বিভেদের অপরাজনীতির প্রচলন করে।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত