নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে কঠোর ব্যবস্থা: হুঁশিয়ারি সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৮ নভেম্বর ২০২১, ১৪:০৪ |  আপডেট  : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭

নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত যেন যাত্রীদের থেকে নেওয়া না হয় পরিবহন মালিক শ্রমিকদের বিষয়টি স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে জনস্বার্থে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।’

সোমবার সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের এ ব্যাপারে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি। গত ৩ নভেম্বর রাতে ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে সরকার, যা ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। তখন পরিবহন মালিকরা বলেন, এত দামে ডিজেল কিনে বিদ্যমান ভাড়ায় গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। পরে মালিকরা শুক্রবার সকাল থেকে বাসসহ পণ্যবাহী যান চালানো বন্ধ করে দেন।

অঘোষিত ওই ধর্মঘটের ফলে সারাদেশে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বিআরটিএর কাছে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় বৃহস্পতিবার বিকালে। কিন্তু বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বিআরটিএ মালিক সমিতিকে বৈঠকের জন্য ডাকে রবিবার।

গতকাল রবিবার বিআরটিএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে মালিকপক্ষের দাবি মেনে বাসের ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। পরে ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপর থেকেই সড়ক-মহাসড়কে চলতে শুরু করে বাস। কিন্তু ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের ধর্মঘটের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের ধর্মঘটের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের। সেতুমন্ত্রী বলেন, গ্যাস অকটেন ও পেট্রোল চালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে বর্ধিত এ ভাড়া প্রযোজ্য হবে না।

ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো ভয়ংকর পরিস্থিতি নেই। জনস্বার্থে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, দুর্নীতিবাজ এবং অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর।

জনগণের সম্পদ যারা লুন্ঠন করে তাদের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের অবস্থান কঠোর উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের পক্ষ নিয়েছে বলেই এ ধরনের বক্তব্য রাখছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে অগণতান্ত্রিক স্বৈর সরকার, তারাই রাজনীতিকে কলুষিত করেছে আর এ দায় বিএনপি কখনো এড়াতে পারবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যা করে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী ধারায় রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল, সিপাহী জনতার বিপ্লব নামে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যা করেছিল- সময় এসেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার। হাতের তালু দিয়ে বিএনপি আকাশ ঢাকতে চায় কিন্তু সত্য প্রকাশিত হবেই উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সত্যের বন্যা অপ্রতিরোধ্য।

১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত যে সকল ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা জনসমক্ষে আনা হয়নি, কারও কারও কৃত্রিম ইমেজ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে সেসব ঘটনা এবং দায়ীদের মুখোশ উন্মোচন এখন সময়ের দাবি।

বিএনপি নেতারা বলেছেন তাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মণ্ডপে হামলা করেছে যারা, আগুন জ্বালিয়েছে যারা, যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চেয়েছে তারা বিএনপির ভাষায় দেশপ্রেমিক।

অভিযুক্তদের দেশপ্রেমিক কর্মী বলে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পুজামণ্ডপে যারা হামলা করেছে ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত