জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ ৭ কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার
নাশকতার পরিকল্পনায় জামায়াত নেতাদের গোপন বৈঠক: পুলিশ
প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:০৭ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:১৩
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি এ কথা জানান। আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া জামায়াতের নেতারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। গোপন সংবাদে বৈঠকের খবর জানতে পেরে তাদের আটক করি।’
অভিযানে সেই বাসা থেকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন, আব্দুর রব, ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত এবং জামায়াতের কর্মী মনিরুল ইসলাম ও আবুল কালামকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা বৈঠকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছেন বলে আমাদের কাছে খবর আসে। তাদের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার বৈঠক থেকে আলামত হিসেবে কিছু বই আমরা জব্দ করি। তাদের জিজ্ঞসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি, কেন বৈঠকে মিলিত হয়েছে। আমরা ধারণা করছি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করার উদ্দেশ্যে মিলিত হয়েছিল। রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করার জন্য এটা তাদের গোপন বৈঠক ছিল।’
নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি না, তারা কোথায় বা কোন সময় নাশকতা করবে তা জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা জানতে পারবো, তারা কী উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিল। তাছাড়া তাদের কাছ থেকে পাওয়া আলামতের বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারব।’
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে মিলিত হওয়ার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
তাদের নিয়মিত বৈঠক ছিল নাকি বিশেষ কোনো পরিকল্পনার জন্য বৈঠক ছিল জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এটা নিয়মিত বৈঠক ছিল না। এর আগেও যে নাশকতা হয়েছিল তারা একইভাবে বসুন্ধরা এলাকায় বৈঠকে মিলিত হয়ে পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করতো। এবারও তারা একই উদ্দেশ্যে মিলিত হয়েছিল। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি, তাদের কী পরিকল্পনা ছিল এবং নাশকতার পরিকল্পনা তারা কীভাবে বাস্তবায়ন করতো তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।’
সম্প্রতি তালেবানের উত্থানের সঙ্গে তাদের এই নাশকতার পরিকল্পনার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে ডিসি গুলশান আরও বলেন, ‘মাত্র আগস্ট মাস গেলো। আগস্ট মাসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছিল দেশে ও দেশের বাইরে। আমরা এটুকু খতিয়ে দেখছি, এ ধরনের ষড়যন্ত্রের কোনো পরিকল্পনা তাদের ছিল কি না।’
গ্রেফতারদের এখন কোথায় নেওয়া হয়েছে এবং তাদের কোথায় রাখা হবে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা হলে তাদের আগামীকাল আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করবো।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত