নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক:

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২২, ১০:৫০ |  আপডেট  : ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৪

নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। শীতলক্ষ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসা লঞ্চডুবির ঘটনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রোববার (২০ মার্চ) দিবাগত রাতে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সোমবার (২১ মার্চ) থেকে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে চলাচলকারী সব লঞ্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই রুটে ২০-২২টি লঞ্চ চলাচল করে, সেগুলো বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট অংশে রুপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ এমভি আশরাফ উদ্দিন ডুবে যায়। এসময় লঞ্চটিতে প্রায় ৭০ জনের মতো যাত্রী ছিলো বলে লঞ্চে থাকা বেঁচে ফেরা কয়েকজন দাবি করেছেন।

ঘটনার পর থেকেই যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, সর্বমোট ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা সবাই মুন্সিগঞ্জের। দুইজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

ডুবে যাওয়া লঞ্চটির মালিক মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের ইজারাদার দীল মোহাম্মদ কোম্পানি। লঞ্চে তার ছেলে তাপস (৩৬) থাকলেও তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।

দুর্ঘটনার সময় লঞ্চটি চালাচ্ছিলেন লঞ্চ মাস্টার মো. বিল্লাল হোসেন (৪৫)। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায়। লঞ্চ দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহতের মরদেহ পাওয়া গেলেও নাম-পরিচয় জানা গেছে ৪ জনের। তারা হলেন, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী। বাকিরা অজ্ঞাত।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রতিটি মরদেহের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত