নানা সমস্যায় জর্জরিত আদমদীঘির সুন্দর মাহমুদ ইসলামিয়া একাডেমি   

স্থানীয় শিক্ষানুরাগী তারাপুর এলাকার মজিবর রহমান তালুকদারের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ১৯৪২ সালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে সুন্দর মাহমুদ ইসলামিয়া একাডেমি (এস এম আই একাডেমি) বিদ্যালয়ে স্থাপিত হয়। ১৯৮০ বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২য় তলা ভবন রয়েছে। পাকা কক্ষ ভবনসহ পুরাতন টিনের ছাউনীতে পাঠদান চলছে। একটু বৃষ্টি নামলেই শ্রেণীকক্ষে পানি পরে। পাকা এই ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানের প্লাষ্টার উঠে গেছে। দরজা জানালার অবস্থাও করুন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫৬২ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১৮ জন। আর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী রয়েছেন ৩ জন। 

জানা যায়, উপজেলার সান্তাহার সুন্দর মাহমুদ ইসলামিয়া একাডেমি (এসএমআই একাডেমি) বিদ্যালয় বিগত ১৯৪২ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে পাঠদান করা হচ্ছে। ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানের প্লাষ্টার উঠে গিয়ে জরাজীর্ণ অবস্থা। বিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫৬২ জন।  

ওই বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী নুসরাত জাহান বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে জরুরি ভিত্তিতে শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছি। অবিলম্বে নতুন ভবন নির্মাণ করার জোর দাবী জানায়। 

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মনিরুল ইসলাম রতন জানান, দীর্ঘ দিনের পুরাতন এই বিদ্যালয়টিতে সরকারি ভাবে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। ৪তলা বিশিষ্ট পাকা একটি ভবনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দিলেও ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে দ্রæত ৪তলা পাকা ভবন নির্মাণ করা জরুরি। এই জন্য তিনি শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তহমিনা বেগম জানান, উপজেলায় অনেক নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪তলা বিশিষ্ট ভবন পেলেও দুর্ভাগ্যবশত ৮৩ বছরের পুরাতন এই বিদ্যালয়ে কোন ভবন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশের ধারা অব্যাহত রাখতে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হয়। আমাদের শ্রেণী কক্ষ, অফিস সহকারী, ল্যাব সহকারী ও শিক্ষক প্রয়োজন।