নন্দীগ্রামে জমে উঠেছে সরিষার হাট, বাজারমূল্য বেশি পাওয়ায় কৃষকরা খুশি 

  নাজমুল হুদা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:২১ |  আপডেট  : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩

বগুড়ার নন্দীগ্রামে জমে উঠেছে সরিষার হাট। নন্দীগ্রাম সদরে অবস্থিত নন্দীগ্রাম হাটটিতে এখন বিপুল পরিমাণ সরিষার আমদানি হচ্ছে। এবারো নন্দীগ্রাম উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে সরিষার যেমন বাম্পার ফলন হয়েছে তেমনি বাজারমূল্যও অনেক বেশি পাওয়ায় কৃষকরা খুশিতে রয়েছে। 

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৮৭১০ হেক্টর জমিতে ১৪০৩৮ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এরচেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। নন্দীগ্রাম হাট কর্তৃপক্ষ জানান, সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার হাটেরদিন এখানে সরিষার হাট বসানো হয়েছে। এই হাটে বিভিন্ন জাতের সরিষা উঠে। সরিষার মান ও দর বেশ ভালো হওয়ায় অনেক দূরদূরান্তের ক্রেতারা নন্দীগ্রাম হাট থেকে সরিষা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। সরিষার বেপারি রেজাউল করিম বলেন, অন্যান্য হাটের তুলনায় নন্দীগ্রাম হাটে প্রচুর পরিমাণ সরিষার আমদানি হচ্ছে। এই হাটটি বাড়ির খুব নিকটে হওয়ায় পরিবহন খরচ অনেক কম হয়। মঙ্গলবার হাটে আমি ৬০ মণ সরিষা ক্রয় করেছি। আরেক সরিষার বেপারি সাইদুল ইসলাম বলেন, নন্দীগ্রাম হাটে প্রচুর পরিমাণ সরিষা আমদানি হয়। আমি সরিষা কিনে রেখে পরে বিক্রয় করে থাকি। মঙ্গলবার হাটে আমি ১০০ মণ সরিষা কিনেছি। বর্তমানে সরিষার প্রকার ভেদে ২৫০০থেকে ২৮০০ টাকা মণ দরে সরিষা কিনেছি। 

সরিষা চাষি আবু বক্কর বলেন, আমি প্রতিবছর ৭/৮ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করি। আমার উৎপাদিত সরিষা নন্দীগ্রাম হাটে বিক্রয় করলাম। আরো সরিষা আছে তা কিছুদিন বিক্রয় করবো। এছাড়াও নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা ও কুন্দারহাটসহ আরো কয়েকটি হাটে সরিষা ক্রয়-বিক্রয় হয়। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় এবার নন্দীগ্রামে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবছর নন্দীগ্রাম উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এখন হাট-বাজারে সরিষার বেশ দাম রয়েছে। যা বিক্রয় করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত