দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার জয় ২২৩ আসনে  

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩১ |  আপডেট  : ১০ মে ২০২৪, ০৬:১০

ভোটারের তুলনামূলক কম উপস্থিতি, কয়েকটি আসনে গোলযোগ, অনিয়ম, জালভোট, কেন্দ্র দখলের অভিযোগ ও বর্জনের মধ্যে দিয়ে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে গতকাল দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ২২৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন। বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ১১টি আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ৬২ আসনে। এ ছাড়া কল্যাণ পার্টি এক, জাসদ এক এবং ওয়ার্কার্স পার্টি একটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। নওগাঁ-২ আসনের একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় আবার নতুন তফসিলে সেখানে ভোট গ্রহণ করা হবে।

এ ভোটের ফলাফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার এবং মোট পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে  যাচ্ছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ ভাগ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়। ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৮ দলের ১ হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিল ৪৩৭ জন। বিএনপিসহ ১৬টি দল ভোট বর্জন করে।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, মোট ৪২ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে অনিয়মের কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয় সাতটি কেন্দ্রের। ভোট ঘিরে রাজনৈতিক বিরোধিতায় অবরোধ ও হরতালের কারণে বেশ কিছু গোলযোগ, ট্রেন, বাস ও ট্রাকে অগ্নিসংযোগসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গতকাল ভোট কেন্দ্র দখল, জালভোট প্রদান, এজেন্টদের জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে শেষ মুহূর্তে বেশ কিছু প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

গতকাল রাত ১টা পর্যন্ত বিভিন্নসূত্রে প্রাপ্ত বেসরকারিভাবে যে ফলাফল পাওয়া গেছে তা হলো :

প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে, রংপুর বিভাগ : পঞ্চগড় : পঞ্চগড়-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাট পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২১০ ভোট। পঞ্চগড়-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নূরুল ইসলাম সুজন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লুৎফর রহমান রিপন পেয়েছেন ৭ হাজার ৬২৭ ভোট।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও-১ এ বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৩১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউর রহমান রাজি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে বিজয়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. মাজহারুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৪১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৪৫ ভোট। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। লাঙল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতুড়ি প্রতীকে ওয়ার্কার্স পার্টির গোপাল চন্দ্র পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট।

দিনাজপুর : দিনাজপুর-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ নেতা) জাকারিয়া। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল (নৌকা) ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়েছেন। দিনাজপুর-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবন পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৫৯ ভোট। দিনাজপুর-৩-এ বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইকবালুর রহিম। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ ভোট। দিনাজপুর-৪-এ বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট। দিনাজপুর-৫-এ বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৮ ভোট। ট্রাক প্রতীকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হযরত আলী বেলার পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৪২ ভোট। দিনাজপুর-৬-এ বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. শিবলী সাদিক। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আজিজুল হক পেয়েছেন ৮২ হাজার ২৪৮ ভোট।

নীলফামারী : নীলফামারী-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আফতাব উদ্দিন সরকার। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. তছলিম উদ্দিন পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৩৪ ভোট। নীলফামারী-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান নূর। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৯১ ভোট। নীলফামারী-৩ আসনে কাঁচি মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন পাভেল ৩৯ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাজিয়া সুলতানা ঈগল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ২০ ভোট। নীলফামারী-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন কাঁচি মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম, তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোখছেদুল মোমিন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০১ ভোট।

লালমনিরহাট : লালমনিরহাট-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. মোতাহার হোসেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৯০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৩২ ভোট। লালমনিরহাট-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নুরুজ্জামান আহমেদ। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৭ হাজার ২৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক পেয়েছেন ৫০ হাজার ৫০০ ভোট। লালমনিরহাট-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. মতিয়ার রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৮০ ভোট।

রংপুর : রংপুর-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ নেতা) আসাদুজ্জামান। কেটলি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গা পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩০৯ ভোট। রংপুর-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৩৭ ভোট। ট্রাক প্রতীকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বনাথ সরকার বিটু পেয়েছেন ৩৯ হাজার ১৪৩ ভোট। রংপুর-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। লাঙল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী ঈগল মার্কায় ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়েছেন। রংপুর-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিপু মুনশি। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৮৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোস্তফা সেলিম পেয়েছেন ৪১ হাজার ৬২২ ভোট। রংপুর-৫ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ নেতা) জাকির হোসেন সরকার। ট্রাক প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬১২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে রাশেক রহমান পেয়েছেন ৭১ হাজার ৫০৫ ভোট। রংপুর-৬ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিরীন শারমিন চৌধুরী। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৩২ ভোট।

 

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। লাঙল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির মো. আবদুল হাই গোলাপ ফুল মার্কা পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৫৬ ভোট। কুড়িগ্রাম-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ নেতা) ডা. হামিদুল হক খন্দকার। ট্রাক প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ১২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৪৫ ভোট। কুড়িগ্রাম-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৩৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আক্কাছ আলী সরকার পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫১৫ ভোট। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. বিপ্লব হাসান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৪।

গাইবান্ধা : গাইবান্ধা-১ আসনে ঢেঁকি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার ৬৬ হাজার ৪৯ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারী লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হজার ৪৯১ ভোট। গাইবান্ধা-২ আসনে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ্ সরোয়ার কবীর ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুর রশীদ সরকার লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৭ ভোট। গাইবান্ধা-৩ এ বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উম্মে কুলসুম স্মৃতি। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট। ঈগল প্রতীকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুল হক সরকার পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট। গাইবান্ধা-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আবুল কালাম আজাদ। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ১৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৫০ ভোট। গাইবান্ধা-৫ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫২৬ ভোট।

রাজশাহী বিভাগ :

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ-১ এ আওয়ামী লীগ মনোনীত তানভীর শাকিল জয় নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত জহুরুল ইসলাম লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৯ ভোট। সিরাজগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মোছা. জান্নাত আরা হেনরী নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত আমিনুল ইসলাম ঝন্টু লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮০ ভোট। সিরাজগঞ্জ-৩ এ আওয়ামী লীগের ডা. আবদুল আজিজ নৌকা প্রতীকের ১ লাখ ১৭ হাজার ৬ শত ৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখওয়াত হোসেন সুইট ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭০৮ ভোট। সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম শফি নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ২০ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত হিলটন প্রামাণিক লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮ ভোট। সিরাজগঞ্জ-৫ এ আওয়ামী লীগের আবদুল মমিন মন্ডল নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭৭ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৩ হাজার ১৮৩ ভোট। সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে আওয়ামী লীগের চয়ন ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৯০ ভোট বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মিরু প্রতীক ঈগল নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৭৬ ভোট।

পাবনা : পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু নৌকা প্রতীকে ৯৩ হাজার ২৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ট্রাক মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৭ ভোট। পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের আহমেদ ফিরোজ কবির নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট। পাবনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মকবুল হোসেন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হামিদ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ১৫৯ ভোট। পাবনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের গালিবুর রহমান শরীফ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২ ভোট। পাবনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের গোলাম ফারুক প্রিন্স নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী জাকির হোসেন হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৬ ভোট।

বগুড়া : বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাদারা মান্নান নৌকা প্রতীকে ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. শাহাজাদী আলম লিপি তবলা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। বগুড়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙল নিয়ে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ৩৬ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিউটি বেগম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ২০৩ ভোট। বগুড়া-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের খান মুহম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী ৬৯ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় কুমার সরকার কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮১৫ ভোট। বগুড়া-৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মহাজোটের প্রার্থী জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে ডা. জিয়াউল হক মোল্লা পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট। বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মজিবর রহমান মজনু ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মিনার প্রতীক নিয়ে নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ১০৫ ভোট। বগুড়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে রাগেবুল আহসান রিপু ৫৩ হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে আবদুল মান্নান পেয়েছেন ২২ হাজার ৮৪০ ভোট। বগুড়া-৭ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ডা. মোস্তফা আলম নান্নু পেয়েছেন ৯১ হাজার ২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক নিয়ে এটিএম আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৬ হাজার ৮০১ ভোট।

রাজশাহী : রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলান রাব্বানী কাঁচি প্রতীক নিয়ে ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট পেয়েছেন। রাজশাহী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা ৫৫ হাজার ১৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৪ দলের প্রার্থী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩৩ হাজার ১৪৬ ভোট। রাজশাহী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আবদুস সালাম খান লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৩৫ ভোট। রাজশাহী-৪ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি এনামুল হক কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট। রাজশাহী-৫ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের আবদুল ওয়াদুদ দারা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান পেয়েছেন ঈগল প্রতীকে ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট। রাজশাহী-৬ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম পেয়েছেন ১ লাখ ৬১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭৯৩ ভোট।

নাটোর : নাটোর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৪৭ ভোট। নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আহাদ আলী সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৮৫ ভোট। নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের জুনাইদ আহমেদ পলক ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৯৭ ভোট। নাটোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৪৮ ভোট। 

জয়পুরহাট : জয়পুরহাট-১ আসনে ৯৬ হাজার ১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সামছুল আলম দুদু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের আবদুল আজিজ মোল্লা পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৭৭৬ ভোট। জয়পুরহাট-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের গোলাম মাহফুজ চৌধুরী পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৪১ ভোট।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ৭৯ হাজার ৮১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৭০৯ ভোট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মু. জিয়াউর রহমান ১ লাখ ১৫ হাজার ৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মু. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৪৫ ভোট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল ওদুদ ৯১ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের নোঙর প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মতিন পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ ভোট।

নওগাঁ : নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৭২১ ভোট। নওগা-২ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে। নওগাঁ-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ৮৪ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদার ট্রাক মার্কায় পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬৮২ ভোট। নওগাঁ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট। নওগাঁ-৫ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী দেওয়ান ছোকার আহম্মেদ শিষান পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৮৪ ভোট। নওগাঁ-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক ৭৬ হাজার ৬৬০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট।

খুলনা বিভাগ : কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল হক চৌধুরী ৮৯ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাজমুল হুদা পেয়েছেন ৫৩ হাজার ১০৫ ভোট। কুষ্টিয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মাহবুব-উল আলম হানিফ ১ লাখ ২৭ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৮১ ভোট। কুষ্টিয়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফ ট্রাক প্রতীকে ৯৮ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের সেলিম আলতাফ জর্জ পেয়েছেন ৮০ হাজার ১১১ ভোট।

মাগুরা : মাগুরা-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাকিব আল হাসান ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৩ ভোট। মাগুরা-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. শ্রী বীরেন শিকদার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মুরাদ আলী পেয়েছেন ১৩ হাজার ২৬৫ ভোট।

বাগেরহাট : বাগেরহাট-১ আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দীন ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. কামরুজ্জামান লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২১০ ভোট। বাগেরহাট-২ আসনে শেখ তন্ময় নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাজরা সহিদুল ইসলাম লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৪ ভোট। বাগেরহাট-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুন নাহার ৮৫ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইদ্রিস আলী ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৫২ ভোট। বাগেরহাট-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামিল হোসাইন পেয়েছেন ৬ হাজার ১৯৮ ভোট।

খুলনা : খুলনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল ১ লাখ ৪২ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় ঈগল প্রতীকে ৫ হাজার ২৬২ ভোট পেয়েছেন। খুলনা-২ আসনে নৌকা প্রতীকের সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৮৬৮ ভোট। তার নিকটতম লাঙল প্রতীকের গাউসুল আজম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪১ ভোট। খুলনা-৩ আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকার প্রার্থী এস এম কামাল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৯৯৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙলের আবদুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪১ ভোট। খুলনা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুস সালাম মুর্শেদী ৮৬ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা কেটলি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৯৩ ভোট। খুলনা-৫ আসনের নৌকার  প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ পেয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ২১৯ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের শেখ আকরাম হেসেন পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৭৭ ভোট। খুলনা-৬ আসনে নৌকা প্রতীকের মো. রশিদুজ্জামান মোড়ল পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৩৩৯ ভোট। নিকটতম স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের জি এম মাহবুবুল আলম পেয়েছেন ৫১ হাজার ৪৭৪ ভোট।

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুল হাই ৮৫ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৯৪৯ ভোট। ঝিনাইদহ-২ আসনে ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী পেয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ১৪৯ ভোট। ঝিনাইদহ-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজী ৫৬ হাজার ২৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আজম খান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ১৮৪ ভোট। ঝিনাইদহ-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আনোয়ারুল আজিম ৯৬ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশিদ খোকন পেয়েছেন ৫৭ হাজার ১০০ ভোট।

মেহেরপুর : মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন ৯৪ হাজার ৩০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মান্নান পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট। মেহেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মকবুল হোসেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়েছেন।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের জাতীয় পার্টির সৈয়দ দীদার বখত্ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮২১ ভোট। সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের মো. আশরাফুজ্জামান ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৮৭ ভোট। সাতক্ষীরা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের আ ফ ম রুহুল হক ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের মো. আলিপ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৪৭৩ ভোট। সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আতাউল হক ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের এইচ এম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট।

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোয়ার্দার (ছেলুন) ৯৬ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ৭২ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মো. আলী আজগার ১ লাখ ৭ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাশেম রেজা পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৮৯৫ ভোট।

যশোর : যশোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের শেখ আফিল উদ্দিন ১ লাখ ৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট। যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. তৌহিদুজ্জামান ১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৮২ ভোট। যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের কাজী নাবিল আহমেদ ১ লাখ ২১ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিত কুমার নাথ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৫১১ ভোট। যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এনামুল হক বাবুল ১ লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের মো. জহুরুল হক পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট। যশোর-৫ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইয়াকুব আলী ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের স্বপন ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৩২ ভোট। যশোর-৬ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আজিজুল ইসলাম ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট।

নড়াইল : নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের বি এম কবিরুল হক ১ লাখ ৩৪ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের মো. মিল্টন মোল্যা পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৪ ভোট। নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজা ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১ ভোট।

বরিশাল বিভাগ : বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ছেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ১২২ ভোট। বরিশাল-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন (নৌকা) ১ লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৬২ ভোট। বরিশাল-৩ আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু ৫১ হাজার ৮১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান পেয়েছেন ২৪ হাজার ১২৩ ভোট। বরিশাল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ নাথ ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৭৫ ভোট। বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদ ফারুক ৯৭ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ ভোট। বরিশাল-৬ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল হাফিজ মল্লিক ৬০ হাজার ১০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মোহাম্মদ শামসুল আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৭৪ ভোট।

পিরোজপুর : পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের শ ম রেজাউল করিম ৮৫ হাজার ৪১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়াল পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪৮৭ ভোট। পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ ৯৯ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৭০ হাজার ৩৩৩ ভোট। পিরোজপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামিম শাহ নেওয়াজ ৬২ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রুস্তম আলী ফরাজী ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬২১ ভোট।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালী-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট। পটুয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ স ম ফিরোজ ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মহসীন হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৮ ভোট। পটুয়াখালী-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম শাহজাদা ৯৪ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আবুল হোসেন পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট। পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিব্বুর রহমান মহিব ৫৬ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৪২০ ভোট।

বরগুনা : বরগুনা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু ৬১ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের গোলাম সরোয়ার ফোরকান পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১৪৭ ভোট। বরগুনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের সুলতানা নাদিরা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের ড. আবদুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৯৫১ ভোট।

ভোলা : ভোলা-১ সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. শাজাহান মিয়া ৫ হাজার ৯৮০ ভোট পেয়েছেন। ভোলা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আজম মুকুল ৮৬ হাজার ১৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি (জেপি) গজনবী পেয়েছেন ১ হাজার ৬০৫ ভোট। ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন ১৭ হাজার ৮১৫ ভোট পেয়েছেন। ভোলা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব পেয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়েছেন।

ঝালকাঠি : ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৬২৪ ভোট। ঝালকাঠি-২ আসনে ৪৩ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমির হোসেন আমু নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসির উদ্দিন এমরান পেয়েছেন ১ হাজার ৩৫৪ ভোট।

ঢাকা বিভাগ : ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালমান ফজলুর রহমান ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট। ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল ইসলাম ৫৪ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৬১৯ ভোট। ঢাকা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নসরুল হামিদ ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মনির সরকার ২ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন। ঢাকা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সানজিদা খানম পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট। ঢাকা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজল ৫০ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনর রশীদ মুন্না পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট। ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাঈদ খোকন ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্যজোটের প্রাথী রবিউল আলম মজুমদার পেয়েছেন ১১০৯ ভোট। ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী  মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৮ ভোট। ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ৪৬ হাজার ৬১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী জুবের আলম খান পেয়েছেন ৮৮০ ভোট। ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী ৯০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী আবুল খায়ের পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ ভোট। ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রাথী মো. শাহজাহান পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট। ঢাকা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়াকিল উদ্দিন ৮৩ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামীম আহমেদ পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪৭ ভোট। ঢাকা-১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান ৯৪ হাজার ৬৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলম খুশু পেয়েছেন ২ হাজার ২১৯ ভোট। ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক ৯০ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরিকত ফেডারেশনের কামরুল আহসান পেয়েছেন ১ হাজার ৫২৯ ভোট। ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফর রহমান পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯১৪ ভোট। ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুল হক পেয়েছেন ২০৪৪ ভোট। ঢাকা-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ ৬৫ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রবিন পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৪ ভোট। ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মো. আইনুল হক পেয়েছেন ১৩৮০ ভোট। ঢাকা-১৮ আসনে স্বতন্ত্র মো. খসরু চৌধুরী ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম তোফাজ্জেল হোসেন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। ঢাকা-১৯ আসনে স্বতন্ত্র মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট। ঢাকা-২০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেনজির আহমেদ ৮৩ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬১৩ ভোট।

গাজীপুর : গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ ক ম মোজাম্মেল হক ১ লাখ ৯ হাজার ২১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম পেয়েছেন ৯২ হাজার ৭৮৮ ভোট। গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন পেয়েছেন ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট। গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুমানা আলী ১ লাখ ২৬ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৭৪ ভোট। গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট। গাজীপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান ৮২ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকি ৬৭ হাজার ৭৮৩ ভোট পেয়েছেন।

নরসিংদী : নরসিংদী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ৯২ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩১৫ ভোট। নরসিংদী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুল আশরাফ খান ৫৬ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ এন এম রফিকুল আলম পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৩৬ ভোট। নরসিংদী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ৫৬ হাজার ৭৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান ৪৫ হাজার ১১৫ ভোট পেয়েছেন। নরসিংদী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ৭৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বীরু পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৬২০ ভোট। নরসিংদী-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজী উদ্দিন আহম্মেদ ১ লাখ ১১ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৭ ভোট।

নারায়গঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূইয়া পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৫৬ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমান ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টি মুরাদ হোসেন জামাল ৭ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসমান ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী এ এম এম একরামুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী ৯৭ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমদাদুল হক বিশ্বাস পেয়েছেন ৫৩ হাজার ১৩২ ভোট। রাজবাড়ী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিল্লুল হাকিম ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৪৪৬ ভোট।

ফরিদপুর : ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবদুর রহমান ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৮৯ ভোট। ফরিদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহদাব আকবর ৮৬ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল হোসেন ভূইয়া পেয়েছেন ৮৪ হাজার ১১৪ ভোট। ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাদের আজাদ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট। ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী  মজিবুর রহমান চৌধুরী ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফর উল্ল্যাহ পেয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট।

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়া পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী  শেখ ফজলুল করিম সেলিম ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী শাহিন ১ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়েছেন। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ আবুল কালাম পেয়েছেন ৪৬০ ভোট।

মাদারীপুর : মাদারীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুর-ই-আলম চৌধুরী ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোতাহার হোসেন সিদ্দীক পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৬ ভোট। মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান খান ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম নুরুজ্জামান পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ ভোট। মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবদুস সোবহান মিয়া ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়েছেন।

শরীয়তপুর : শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন ভূইয়া ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮৯ ভোট। শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীম ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৪১ ভোট। শরীয়তপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিম রাজ্জাক ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হান্নান পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১৯ ভোট।

মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ৮৪ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেল পেয়েছেন ৩৮ হাজার ১০৯ ভোট। মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগম ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন। মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ মালেক ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গণফোরামের মফিজুল ইসলাম কামাল ৫ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ ১ লাখ ২ হাজার ৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার কবির পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৮০ ভোট। মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৯৬ ভোট। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফয়সাল বিপ্লব ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়েছেন।

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল-১ আসনে ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ৪১৭৮ ভোট। টাঙ্গাইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছোট মনির  ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইউনুছ ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৬ ভোট। টাঙ্গাইল-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানা ৮২ হাজার ৭৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. কামরুল হাসান খান পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৩৫ ভোট। টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম তালুকদার পান ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট। টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছানোয়ার হোসেন ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মামুন-অর-রশিদ পান ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট। টাঙ্গাইল-৬  আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহসানুল ইসলাম (টিটু) ১ লাখ ১২ হাজার ৬৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক শামস খান ৩১ হাজার ২৯২ ভোট পেয়েছেন। টাঙ্গাইল-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট। টাঙ্গাইল-৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয় ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।

কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দা জাকিয়া নূর ৭৬ হাজার ৭৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আপন বড় ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৯৮ ভোট। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব উদ্দিন ৮৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দ ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট পান। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মুজিবুল হক ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট। কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ২ লাখ ৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব ২৭৩৫ ভোট পেয়েছেন। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী  মো. আফজাল হোসেন ৮৪ হাজার ৭৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত পাল পান ৫৭ হাজার ৯০১ ভোট। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নূরুল কাদের সোহেল পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫৬টি ভোট।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মাহমুদুল হক সায়েম ট্রাক প্রতীকে ৯৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুয়েল আরেং নৌকা প্রতীকে ৭৩ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়েছেন। ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে নৌকার প্রার্থী শরীফ আহমেদ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শাহ্ শহীদ সারোয়ার ঈগল প্রতীকে ১২ হাজার ১৫ ভোট পেয়েছেন। ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে নৌকা এগিয়ে থাকলেও একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল হওয়ায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে ভোটের পার্থক্য ১ হাজারেরও কম থাকায় এ আসনের ফলাফল স্থগিত রয়েছে। এ আসনে নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট। ময়মনসিংহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক ট্রাক প্রতীকে ১ লাখ ৩ হাজার ভোট পেয়েছেন। ময়মনসিংহ-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে ৫২ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি ৩৪ হাজার ১৬৮ ভোট পেয়েছেন।  ময়মনসিংহ-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মালেক সরকার ট্রাক প্রতীকে ৫২ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মোসলেম উদ্দিন পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৫৮ ভোট। ময়মনসিংহ-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ বি এম আনিছুজ্জামান ট্রাক প্রতীকে ৬২ হাজার ১২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৩৯ ভোট। ময়মনসিংহ-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদ হাসান সুমন ট্রাক প্রতীকে ৫৬ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ফকরুল ইমাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৮৪ ভোট। ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেজর জেনারেল আ. সালাম নৌকা প্রতীকে ৮০ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে আনোয়ারুল আবেদীন তুহিন ৫৯ হাজার ৫৮৬ ভোট পেয়েছেন। ময়মনসিংহ-১০ আসনে নৌকার প্রার্থী ফাহ্মী গোলন্দাজ বাবেল ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৯ ভোট। ময়মনসিংহ-১১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ ট্রাক প্রতীকে ৯৫ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ নৌকা প্রতীকে ৫৬ হাজার ৪২০ ভোট পেয়েছেন।

জামালপুর : জামালপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর মোহাম্মদ নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ২৮ হাজার ২৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এস এম আবু সায়েম লাঙ্গল প্রতীকে ৬ হাজার ৭০ ভোট পেয়েছেন। জামালপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরিদুল হক খান দুলাল নৌকা প্রতীকে ৭০ হাজার ৭৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকে ৩০ হাজার ৫৪৮ ভোট পেয়েছেন। জামালপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মির্জা আজম ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মীর সামসুল আলম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭৪৯৬ ভোট। জামালপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশিদ ট্রাক প্রতীকে ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মাহবুবুর রহমান হেলাল নৌকা প্রতীকে ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট পেয়েছেন। জামালপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু ঈগল প্রতীকে ৬৫ হাজার ২৪৯ ভোট পেয়েছেন।

শেরপুর : শেরপুর-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানুয়ার হোসেন ছানু ট্রাক প্রতীকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. আতিউর রহমান আতিক নৌকা প্রতীকে ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন। শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মতিয়া চৌধুরী  নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ২০ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাঈদ ঈগল প্রতীকে ৫৩৪২ ভোট পেয়েছেন। শেরপুর-৩ (শ্রীবর্দী-ঝিনাইগাতী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ ডি এম  শহিদুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ এস এম আবদুল্লাহেল ওয়ারেস নাঈম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭২৮ ভোট।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়মী লীগের মোশতাক আহমেদ রুহি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার ট্রাক প্রতীকের ২৫ হাজার ২১৯ ভোট পেয়েছেন। নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ খান জয় ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৬ হাজার ২৮৭ ভোট। নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ট্রাক প্রতীকে ৭৬ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিল নৌকা প্রতীকে ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট পেয়েছেন। নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান নৌকা প্রতীকের ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. লিয়াকত আলী অ্যাডভোকেট লাঙ্গল প্রতীকে ৫ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়েছেন। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে আওয়মী লীগ প্রার্থী আহমদ হোসেন নৌকা প্রতীকে ৭৯ হাজার ৬৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মো. মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির ট্রাক প্রতীকে ২৭ হাজার ২১৪ ভোট পেয়েছেন।

সিলেট বিভাগ : সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রণজিৎ চন্দ্র সরকার ১০০৯৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য কেটলি মার্কার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৫২ ভোট। সুনামগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী সুরঞ্জিতপত্নী জয়া সেনগুপ্তা ৮০ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা মার্কার চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯৯৮ ভোট। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম এ মান্নান ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ভোট। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক ৯০ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল মার্কার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ পেয়েছেন মাত্র ৩১ হাজার ৭২১ ভোট। সুনামগঞ্জ-৫ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মহিবুর রহমান মানিক ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার শামীম আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৯১ হাজার ৮৮৮ ভোট।

সিলেট : সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের ড. এ কে আবদুল মোমেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মিনার মার্কার মাওলানা ফয়জুল হক পেয়েছেন ২১৯৩ ভোট। সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের শফিকুর রহমান চৌধুরী ৮৮ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কার মুহিবুর রহমান মুহিব পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৩৬ ভোট। সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের হাবিবুর রহমান হাবিব ৮০ হাজার ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ট্রাক মার্কার ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪০৫ ভোট। সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ২ লাখ ৭ হাজার ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ মার্কার আবুল হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ১১ ভোট।

সিলেট-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী ৪৪ হাজার ৭৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকার মার্কার মাসুক উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫১ ভোট। সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নুরুল ইসলাম নাহিদ ৫০ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ঈগল মার্কার সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৬০৪ ভোট।

মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দীন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির লাঙল মার্কার আহমদ রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট। মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোনালি আঁশ মার্কার এম এম শাহীন পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৪৯ ভোট। মৌলভীবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল মার্কার আলতাবুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৮ ভোট। মৌলভীবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আবদুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী আবদুল মুহিত হাসানী পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯০ ভোট।

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া ৭৯ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির লাঙল মার্কার আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩ ভোট। হবিগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল ৯৮ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৪৮ ভোট। হবিগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙল মার্কার আবদুল মুমিন চৌধুরী বুলবুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬ ভোট। হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা মার্কার অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৩১৩ ভোট।

চট্টগ্রাম বিভাগ : লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ড. আনোয়ার হোসেন খান ৪০ হাজার ৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবন পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৬৬ ভোট। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ৭৮ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা ইসলাম পেয়েছেন ৭ হাজার ১৫০ ভোট। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিঙ্কু ৫২ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীক এম এ সাত্তার পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬২৮ ভোট। লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে মো. আবদুল্লাহ ৪৬ হাজার ৪৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোটের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে মোশাররফ হোসেন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩০১ ভোট।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মাহবুব উর রহমান রুহেল ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৬৩৯ ভোট। চট্টগ্রাম-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে খাদিজাতুল আনোয়ার ১ লাখ ৩৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরমুজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট। চট্টগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মাহফুজুর রহমান মিতা ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭০ ভোট। চট্টগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এস এম আল মামুন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পর্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মো. দিদারুল কবির পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৮০ ভোট। চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ৪২ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪১৭ ভোট। চট্টগ্রাম-৬ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৯ ভোট। চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ড. হাছান মাহমুদ ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মুহাম্মদ ইকবাল হাছান মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট। চট্টগ্রাম-৮ আসনে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী ৪১ হাজার ৫০০ ভোট। চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের সানজীদ রশীদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট। চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট। চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এম আবদুল লতিফ ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট। চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট। চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আবুল হোসেন মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ১৪১ ভোট। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নজরুল ইসলাম ৭১ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৮৪ ভোট। চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী পেয়েছেন ৩৯ হাজার ১৫২ ভোট। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ কবির লিটন পেয়েছেন ৩২ হাজার ২২০ ভোট।

 

কক্সবাজার : কক্সবাজার-১ এ কল্যাণপার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম। কক্সবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক ৯৬ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএম পার্টির নোঙর প্রতীকের প্রার্থী শরিফ বাদশা পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৪৯ ভোট। কক্সবাজার-৩ এ আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মিজান সাঈদ। কক্সবাজার-৪ এ আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী শাহিন আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মো. নুরুল বশর।

বান্দরবান : পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের প্রার্থী শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৬১ ভোট।

খাগড়াছড়ি : পার্বত্য খাগড়াছড়ি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ২ লাখ ২০ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের মিথিলা রোয়াজা পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৩৮ ভোট।

রাঙামাটি : পার্বত্য রাঙামাটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ২ লাখ ৭৭ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন দীপংকর তালুকদার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীক প্রার্থী অমর কুমার দে। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৬৫টি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী কলারছড়ি প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন সৈয়দ একে একরামুজ্জামান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি) ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আ ব ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকে ৬৪ হাজার ৩৫ ভোট পেয়েছেন ফিরোজুর রহমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আনিসুল হক নৌকা প্রতীকের পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান আম প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬৫৮৬। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ¦ী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক নিয়ে মোবারক হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৬ ভোট।          

কুমিল্লা : কুমিল্লা-১ এ মো. আবদুস সবুর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে জয়ী পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ভোট।  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসান পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৭৩ ভোট। কুমিল্লা-২ এ স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন মো. আবদুল মজিদ পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিমা আহমাদ পেয়েছেন ৪২ হাজার ৪৫৩ ভোট। কুমিল্লা-৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছে জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৮৩ হাজার ১৭১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৪ ভোট। কুমিল্লা-৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে ৯৬ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মো. আবুল কালাম আজাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পেয়েছেন ৮১ হাজার ২৫৭ ভোট। কুমিল্লা-৫ স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন এম এ জাহের পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮১০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলকপি প্রতীকের সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫২২ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসেম খান ২২ হাজার ৩১৫ পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। কুমিল্লা-৬ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌক প্রতীক ১ লাখ ৩২ হাজার ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন আ ক ম বাহাউদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আন্জুম সুলতানা ৪৪ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়েছেন। কুমিল্লা-৭ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ১ লাখ ৭৩ হাজার ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন প্রাণ গোপাল দত্ত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুনতাকিম আশরাফ পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৮ ভোট। কুমিল্লা-৮ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন পেয়েছেন ২ লাখ ৭২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম মিলন পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২১ ভোট। কুমিল্লা-৯ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মো. তাজুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের আবু বকর সিদ্দিক ৮ হাজার ২৬০ ভোট পেয়েছেন। কুমিল্লা-১০এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন আহম মুস্তফা কামাল পেয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির জোনাকি হুমায়ুন পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৮ ভোট। কুমিল্লা-১১ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন মো. মুজিবুল হক পেয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ২২ হাজার ৭০০ ভোট।

চাঁদপুর : চাঁদপুর-১ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ড. সেলিম মাহমুদ ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর চেয়ার প্রতীকে মো. সেলিম প্রধান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৩৪ ভোট। চাঁদপুর-২ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে এম ইসফাক আহসান পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৫০ ভোট। চাঁদপুর-৩ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ডা. দীপু মনি ১ লাখ ৬ হাজার ৫৬৬  ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে ড. মো. শামছুল হক ভূঁইয়া পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৫৯ ভোট। চাঁদপুর-৪ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪২৫ ভোট। চাঁদপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম ৮৩ হাজার ২২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে গাজী মাঈনুদ্দিন পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৩৮ ভোট।

ফেনী : ফেনী-১ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৮২ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে শাহরিয়ার ইকবাল পেয়েছেন ৪ হাজার ১৯৫ ভোট। ফেনী-২ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নিজামউদ্দিন হাজারী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে খোন্দকার নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৮ ভোট। ফেনী-৩ জাতীয় পার্টির লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ১ লাখ ৪৭ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রহিম উল্লাহ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬২৬ ভোট।

নোয়াখালী : নোয়াখালী-১ আসনে এইচ এম ইব্রাহিম আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ভোট পেয়ে বিজয়ী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরিকত ফেডারনের সেলিম ভূঁইয়া পেয়েছেন ২ হাজার ৮১৯ ভোট। নেয়াখালী-২ মোরশেদ আলম আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ৫৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র আতাউর রহমান ভূঁইয়া ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়েছেন। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন যেগুলো স্থগিত আছে। নোয়াখালী-৩ আসনে বেগমগঞ্জে মামুনুর রশিদ কিরণ নৌকা মার্কায় ৫৬ হাজার ৪৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহাম্মেদ জাবেদ পেয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮৫ ভোট। সামান্য ভোটে তিনি হেরেছেন। নোয়াখালী-৪ (সদর সুবর্ণচর) আসনে নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন ৪৭ হাজার ৭৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। নোয়াখালীর ৫ আসনের (কোম্পানী-কবিরহাট) আসনের নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ফলাফল ভোটের সংখ্যা হলো ১ লাখ ৮১ হাজার ২৭৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহাম্মেদ লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৭০২ ভোট। নোয়াখালী-৬ এ হাতিয়া আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মোহম্মদ আলী এগিয়ে রয়েছেন।

 

 

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত