দেশে মিডিয়া কমিশন গঠন করার জোর দাবি সম্পাদকদের
প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৫৮ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩
দেশে মিডিয়া কমিশন গঠন করার জোর দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদকেরা। সেইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দুই থেকে তিন বছর করার ব্যাপারেও মত দিয়েছেন তারা। এছাড়াও সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন কমিশনের সংস্কারও চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রমনায় তার বাসভবন যমুনায় দেশের বিভিন্ন মিডিয়ার ২০ সম্পাদকের মতবিনিময়কালে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। পরে রাজধানীর রমনায় ফরেন একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, সম্পাদকদের এমন প্রস্তাব পাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা তাদের বলেছেন আপনারা প্রচুর লেখেন। আমাদের দোষ ত্রুটি থাকলে সেটা নিয়েও লেখেন। গণমাধ্যম মুক্ত এবং স্বাধীন। লিখতে কোনো প্রকার বাঁধা নেই।
তিনি আরও বলেন, সম্পাদকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন। এই আলোচনায় যাতে সংস্কারগুলো ভালোভাবে হয়। এছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশিরভাগ সম্পাদক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দুই থেকে তিন বছর করার প্রস্তাব করেছেন। সকলে বলেছেন এই সরকারের মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছর যেন হয়। যাতে ভালোভাবে সংস্কারের কাজগুলো করা যায়। তাদের এমন প্রস্তাব পাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এটাই বড় সুযোগ। এই সুযোগকে কাজে লাগানোর সময় এখনি। এটা একটি মস্ত বড় সুযোগ বাংলাদেশকে সংস্কারের। এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে।
এসবের পাশাপাশি সম্পাদকেরা সংবিধান সংশোধন এবং ইলেকশন কমিশনের সংস্কার চেয়েছেন। তারা মনে করেন সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আরও শক্তিশালী হবে। প্রত্যেক সম্পাদকের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। এসব রেকর্ড প্রত্যেক উপদেষ্টা শুনবেন এবং তারা পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সম্পাদকদের পক্ষ থেকে মিডিয়া কমিশন করার দাবি তোলা হলে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মিডিয়া কমিশন করার প্রস্তাবে একমত হয়েছেন।
সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংবিধান সংশোধন, ল'কমিশন গঠন, পুলিশ কমিশন গঠনের কথা উঠে এসেছে। পুলিশকে আরও কিভাবে শক্তিশালী করে কাজে লাগানো যায় সেই কথাও জানিয়েছেন সম্পাদকেরা।
সম্পাদকেরা এসবের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব কালাকানুন করা হয়েছিল বিগত সরকারের সময়ে সেগুলো তুলে নেওয়ার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টাকে তাদের মতামত জানান। এমন কথা শোনার পর প্রধান উপদেষ্টা তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা প্রচুর লেখেন। প্রয়োজন হলে আমাদের দোষ ত্রুটি নিয়েও লেখেন। লিখতে কোনো প্রকার বাধা নেই। মিডিয়ার ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই।
এ সময় ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত