তোমায় বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১, ১৬:২৩ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:২৬
কামরুল হাসান ফেরদৌস
--------------------------------
গণক ঠাকুর গুনে বলে
আগাম সমাচার
দেবকী মা'র সন্তান করবে
কংসকে সংহার।
কংস যে তাই কারাগারে
করলো মাকে বন্দী
গর্ভে শিশু জন্ম নিতেই
মেরে ফেলার ফন্দি।
সে রাত ছিল ভাদই চাঁদে
কৃষ্ণ পক্ষের আট
বর্ষা নামে অঝোর ধারায়
আঁধার রাজ্যপাট।
কারাগারের রক্ষীরা সব
আচম্বিতে ঘুমে
সেই সময়ে গর্ভ থেকে
কৃষ্ণ এলেন নেমে।
মা দেবকী বলেন তাহার
স্বামী বসুদেবে
যাও গোকুলে শিশু নিয়ে
যশোদা'কে দেবে।
কংস যদি জানতে পারে
করবে তারে বধ
সূত আমাদের দূরে থেকেও
থাকুক নিরাপদ।
ঝাঁকায় নিয়ে শিশুপুত্র
চলেন বসুদেবায়
আদ্যামাতা শৃগাল হয়ে
পথ দেখিয়ে যায়।
নাগ নাগিনী ছত্রী হয়ে
বর্ষা থেকে বাঁচায়
গভীর রাতে এসে পুত্র
দিলো যশোধায়।
মা যশোদার কোলে তখন
কন্যা হয়ে মায়া
চিনতে কৃষ্ণ হয়নিকো ভুল
দেখে কৃষ্ণ কায়া।
বসুদেবের ফিরতি ঝাঁকায়
কন্যা যোগমায়ায়
তুলে দিলেন মা যশোদা
দৈব ইশারায়।
রাত পোহাবার আগেই বসু
ফিরেন কারাগারে
কন্যা শিশু যোগমায়ায়
দিলেন দেবকীরে।
সকাল হলে রক্ষী সকল
জেগে ঘুমের পরে
প্রসব বার্তা দিলো গিয়ে
কংস দুরাচারে।
কংস ত্বরা দেখলো এসে
কন্যা শিশুর মুখ
ছিনিয়ে আছাড় মারতে গেলো
যেই না সে দুর্মুখ;
অমনি শিশু যোগমায়া
দেবীর মুর্তি ধরে
নিরাপদে আকাশ পথে
শীঘ্রি গেলো উড়ে।
বলেন দেবী হে দুরাচার
বধবে তোরে যে
দূরের একটি গাঁ গোকুলে
আজ বাড়ছে সে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত