৩ লাখ মানুষের জন্য ৩৪০০ কম্বল

তীব্র শীতে কাউনিয়াতে ভাসমান দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের কদর

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:২৬ |  আপডেট  : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫৮

কাউনিয়ায় শীত জেঁকে বসেছে। দিনের বেলা রোদের কারণে শীত অনুভূত না হলেও বিকাল হতেই উত্তরের হিমেল হাওয়ায় রাত বাড়তেই শীতে কাবু হচ্ছে চরাঞ্চলসহ উপজেলার শীতার্ত মানুষগুলো। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারদিক। যানবাহনগুলো দিনেরবেলায় লাইট জালিয়ে চলাচল করছে। শীতল হাওয়ার কারণে রাত ৯টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে হাট-বাজার গুলো। শীতের প্রকোপে ভুগছে শিশু-কিশোর ও বয়স্ক লোকজন শীতজনিত রোগে। কাউনিয়ায় দরিদ্র মানুষের শিশু ও বড়দের শীতের পোশাকের কদর বেড়েছে ফুটপাতের দোকান গুলোতে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট কেনাবেচা হচ্ছে শীতের কাপড়। 

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তরা  প্রয়োজনীয় গরম পোশাক, জ্যাকেট, সোয়েটার, শাল, টুপি, মোজা, হুডি, মাফলার কিনতে ছুটছেন অভিজাত দোকান গুলোতে আর দিনমজুর খেটেখাওয়া মানুষ গুলো ছুটছেন ফুটপাতের দোকানে। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই এখন এই পরিবর্তন স্পষ্ট। এমন অবস্থায় কাউনিয়ায় বিভিন্ন হাটবাজারে শীতের তৈরি পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। ফুটপাতের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অবশ্য মার্কেট ও ফুটপাতে রয়েছে পোশাকের দামের তারতম্যও। ফুটপাতে ৩০০-৭০০ টাকার মধ্যে সোয়েটার, হুডি পাওয়া গেলেও ব্র্যান্ড শপ ও মার্কেটে হুডি, জ্যাকেট ও ব্লেজারের দাম ১৫০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত চাইছেন বিক্রেতারা। বরাবরের মতোই ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, গত বছরের তুলনায় একই ধরনের পোশাকের দাম এবার বেশি। তাই দরদাম করে ফুটপাত থেকে সাশ্রয়ী দামে কাপড় কেনার চেষ্টা করছেন। পিআইও অফিস সূত্রে জানাগেছে কাউনিয়ায় ৩ লাখ মানুষের জন্য মাত্র ৩৪০০ কম্বল বরাদ্দ পেয়েছেন যা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। 

নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য আরো কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষ গুলোর আকুতি শীতার্ত মানুষের জন্য শীত বস্ত্রের বরাদ্দ দেয়ার। তীব্র শীতে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। চিকিৎসকরা বলেছেন, দিনে রোদ ও রাতে বেশি ঠান্ডা থাকায় শিশু ও বৃদ্ধদের ব্যাপারে আরও যতœশীল হতে হবে। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত