তারুণ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: প্রতিমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১, ২১:৪৪ |  আপডেট  : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১৪

তারুণের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  

শনিবার (১০ এপ্রিল) ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটসের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ অভিযাত্রার অর্জন ও ভবিষ্যৎ গন্তব্য’ নিয়ে আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পলক বলেন, হোম গ্রোন ইনোভেশন অ্যান্ড সল্যুশন তথা নিজেদের তৈরি আবিষ্কার ও সমাধান দিয়েই সমস্যার সমাধান করতে পারে এমন একটি জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।  ডিজিটাল সোসাইটি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক মুক্তি ছাড়া টেকসই অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে শিক্ষা অবকাঠামো পরিবর্তন করে ‘অ্যাক্টিভ লার্নিং’ ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও সমস্যা সমাধান এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ করতে হবে।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ সুযোগ হিসেবে নিতে হবে। এ জন্য অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ডিজিটাল ইকোনোমি গড়তে চাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সরকারি মৌলিক সেবার ৯০ শতাংশ চলে এসেছে অনলাইনে। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই এখন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারছেন। আইটি ও আইটিইএস খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ১৫ লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর। চলতি বছরেই বাংলাদেশ ২০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে এ খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে বলে আমাদের আশা রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এ আয় পৌঁছে যাবে ১০ বিলিয়ন ডলারে।

পলক বলেন, ২০২৫, ২০৩১ ও ২০৪১ সালের তিনটি ধাপ অতিক্রমের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী নীতি প্রণয়নে ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস প্ল্যাটফর্ম বড় ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হুসাইন সামাদের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।

আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে এ টু আই-এর উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী, বিডার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, ডেটাসফট ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান, এসবিকে টেকভেঞ্চার-এর প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ ওয়েবিনারে নিজেদের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত