তাইওয়ানে চীনা আগ্রাসনের আশঙ্কা- প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৯ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৬
যে আগামী বছরগুলিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার সামরিক বাহিনীকে তাইওয়ান দখল করার নির্দেশ দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে চীন তার নিজস্ব ভূখণ্ড বিবেচনা করে। তাই মার্কিন সামরিক বাহিনী তার নিজস্ব সামরিক প্রস্তুতির প্রতি কঠোর নজর রাখছে, জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শীর্ষ সেনা কমান্ডার আর্মি জেনারেল চার্লস ফ্লিন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "আমরা আরও বেশি করে এটি করতে চাইছি।" এই অঞ্চলে আরও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে আমাদের ইতিমধ্যেই এটি করার চুক্তি রয়েছে, তবে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেননি। দেখা গেছে যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকান সামরিক সরবরাহ তাইওয়ানের যে কোনও সম্ভাব্য সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় দুর্বলতাগুলির মধ্যে একটি।
মার্কিন কর্মকর্তারা ধারণা করে, চীন সম্ভবত জেট জ্বালানী সরবরাহ বা জাহাজে জ্বালানী বোমা ফেলার চেষ্টা করবে, ভারী সশস্ত্র ফাইটার জেট যুদ্ধ না করেই মার্কিন বিমান ও সমুদ্র শক্তিকে পঙ্গু করে দেবে বা আমেরিকার স্থল যুদ্ধজাহাজের বহর ডুবিয়ে দেবে। তবে একজন মুখপাত্র বলেছেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত "তাইওয়ান অঞ্চলের সাথে সামরিক-যোগাযোগ বৃদ্ধি করা'। চীনের উপকূল থেকে প্রায় ১০০মাইল দূরে তাইওয়ানকে সমর্থন করা আরও কঠিন হবে, মার্কিন কর্মকর্তারা এবং বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করেছেন।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে সমর্থনের ব্যাপারে কিছু বলেনি রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন।
সম্প্রতি ইউএস মিলিটারি থেকে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ৬৬০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি সরঞ্জাম এবং ২ মিলিয়ন রাউন্ডেরও বেশি কামান পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, 'শি তার সেনাবাহিনীকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন' । (রয়টার্স)
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত