ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, গ্রেপ্তার কর্মচারী আদালতে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২৫, ১৪:৫৫ |  আপডেট  : ৬ মার্চ ২০২৫, ১৭:১১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় অভিযুক্তকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গতকাল রাতে তাকে আটক করে পুলিশ। 

গতকাল ভুক্তভোগী ছাত্রী শাহবাগ থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন বলে এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন। 

তিনি লেখেন, ‘এই লোকটা আজকে আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হেনস্তা করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে বলতেসে, আমার ড্রেস ঠিক নাই, আমি পর্দা করি নাই ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তার আচরণ খুবই অ্যাগ্রেসিভ ছিল। পরবর্তীতে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি, আপনি কোন হলে থাকেন, কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে সে এই ক্যাম্পাসের কেউ না।’

ওই ছাত্রী আরও লেখেন, ‘তিনি সালোয়ার, কামিজ ও ওড়না পরে ছিলেন। তার পরও তাকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেন। এরপর তিনি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে ওই ব্যক্তি দৌড়ে চলে যান।’

এদিকে, ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আসিফের মুক্তির দাবিতে গতকাল মাঝরাতের পর শাহবাগ থানায় জড়ো হন একদল ‘তৌহিদী জনতা’। তারা আসিফের মুক্তির দাবি জানান এবং থানায় হট্টগোল করতে থাকেন। রাত পেরিয়ে সকাল হলেও তারা থানায় অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা থানার বাইরে কোরআন হাতে অবস্থান নেন।

শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর বলেন, মোস্তফা আসিফকে গ্রেপ্তারের পর তার মুক্তির দাবিতে একদল ব্যক্তি গতকাল মধ্যরাত থেকে থানায় ছিলেন। পরে আজ সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হলে তারা চলে যান। 

‘তৌহিদী জনতা’র একজনের ফেসবুক লাইভ থেকে জানা যায়, তারা অভিযুক্ত কর্মচারীর জামিনের জন্য ফুলের মালা ও কোরআন নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ওই ব্যক্তি ছাত্রীকে তার পোশাক নিয়ে রাস্তায় হেনস্তা করেন। ছাত্রীটি এ নিয়ে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন এবং পরে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। বিকেলে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তকে শনাক্ত করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। এ সময় ওই ব্যক্তি ছাত্রীটিকে হেনস্তার করার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হবে। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মচারী মোস্তফা আসিফ বলেন, আমি শুধু আপুটাকে বলেছিলাম, আপু রোজার মাস ওড়নাটা ভালো করে দেন। আমি তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি, বাজে মন্তব্য করিনি, তাকে টাচও করিনি। পরে আপু ও সঙ্গে থাকা ভাই আমাকে বাজেভাবে কথা বলতে থাকেন। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর দেখি সেই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করে আমাকে নানাভাবে গালাগালি ও বাজে মন্তব্য করা হচ্ছে। তারা আমার নামে অভিযোগ করেছে আমি নাকি তাকে ইভটিজিং করেছি। কিন্তু এমন কিছুই ঘটেনি। 

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত