ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ
প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:১৮ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০০
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। গতকাল শনিবার জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আজ রোববার সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় কারণে জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুর রহমান আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মোহাম্মদ আবদুর রহমান জানান, আজ সকাল থেকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন। গতকাল একদল বহিরাগত এসে সমস্যা সৃষ্টি করে। তারা অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে চিকিৎসকদের বের করে নিয়ে মারধর করে।
গতকাল নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসকেরা দোষী ব্যক্তিদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তাঁরা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল হট্টগোল হয়। মৃত শিক্ষার্থীর নাম আহসানুল ইসলাম (২৫)। আহসানুল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিইউবিটির শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে তাঁর এক বন্ধুকে বিমানবন্দরে নামিয়ে দিয়ে মিরপুরে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল সকালে তিনি মারা যান।
পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া গতকাল রাতে, বিইউবিটির শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর জানার পর তাঁর সহপাঠী ও আত্মীয়স্বজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। পরে চিকিৎসকদের অবহেলায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হট্টগোল শুরু হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈঠক হয়।
জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, বিইউবিটির শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম গুরুতর জখম হয়েছিলেন। তাঁর চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল না। তবে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের নিয়ে তিনি বৈঠক করেছেন।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত