ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোটা সংস্কার মিছিল শুরু
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ১২:১৭ | আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৩
সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আজ বুধবার ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির জন্য মিছিল শুরু হয়েছে।
বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে মিছিল শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মিছিলটির শাহবাগ মোড়ে যাওয়ার কথা।
অন্যদিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গত কয়েক দিনের মতো আজও মধুর ক্যানটিনে জড়ো হয়েছেন। তবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের তাঁরা বাধা দিচ্ছেন না।
অবশ্য মিছিল শুরুর আগে গ্রন্থাগারের সামনে মাইকে অভিযোগ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০টার আগে থেকেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টা বাজতে বাজতে জমায়েতটি গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ডাকসু ভবন পর্যন্ত চলে যায়।
জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীরা ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা ১১টায় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শাহবাগ মোড়ে যাবে।
মাঝে গতকাল মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে আজ তৃতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া মিছিলটির ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী শাহবাগ মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধের কথা রয়েছে।
এ ছাড়া গত রোববার ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আজও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট পালন করছেন আন্দোলনকারীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলনে আছেন কোটা সংস্কারের দাবি জানানো শিক্ষার্থীরা। শুরু থেকে চার দফা দাবি জানিয়ে এলেও ৭ জুলাই থেকে তাঁরা এক দফা দাবির কথা বলছেন। দাবিটি হচ্ছে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করা।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে রিট করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। কিন্তু আন্দোলনকারীরা গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এই রিটের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করার দাবি জানাচ্ছেন।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত