ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:২৮ |  আপডেট  : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২:৪৩

একটা সময় বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও এখন তার ব্যাপ্তি ছড়িয়েছে পুরো বছরে। এডিস মশার কামড়ে রোজই আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। কেউবা হারাচ্ছেন প্রাণ। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা এখন সময়ের দাবি। প্রশ্ন হচ্ছে, সেটা করবেন কীভাবে? 

ডেঙ্গু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা এবং মশা যেন না কামড়ায় তা নিশ্চিত করা। বাড়ির আশেপাশে জমা পানি অপসারণ করতে হবে। ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য ঢেকে রাখতে হবে শরীর, ব্যবহার করতে হবে মশারি।

চলুন এসম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নিই- 

জমে থাকা পানি পরিষ্কার: 

তিনদিনের বেশি জমে থাকা পানি এডিস মশার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। তাই কোথাও যেন পানি না জমে তা নিশ্চিত করুন। কাপ, টব, ভাঙা টায়ার, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত পাত্র, প্লাস্টিকের পলিথিন বা কৌটায় পানি জমেছে কি না খেয়াল রাখুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন। 

ঝোপঝাড় পরিষ্কার: 

বাড়ির চারপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। বারান্দায় গাছ থাকলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। 

আবাসস্থল ধ্বংস: 

মশা থেকে বাঁচতে তার আবাসস্থল ধ্বংস করা জরুরি। মশা যাতে ডিম পাড়তে না পারে, সেজন্য সম্ভাব্য সব স্থান পরিষ্কার রাখুন। প্রয়োজনে ওষুধ প্রয়োগ করুন যাতে মশার লার্ভা মরে যায়। 

শরীর ঢেকে রাখুন: 

ডেঙ্গু প্রতিরোধে শরীর যতটা সম্ভব ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। হালকা রঙের পোশাক পরুন। কালো, নীলের মতো গাঢ় রঙগুলো মশাকে আকৃষ্ট করে।  

মশারি ব্যবহার:

দিনের বেলাতেও, বিশেষ করে বিশ্রামের সময় মশারি ব্যবহার করুন। কারণ এডিস মশা দিনেই বেশি কামড়ায়। 

মশা তাড়ানোর স্প্রে: 

মশা তাড়ানোর স্প্রে বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। কয়েল ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ স্বাস্থ্যের জন্য এই ধোঁয়া ক্ষতিকর। 

চিকিৎসকের পরামর্শ: 

পরিবারের কারো ডেঙ্গু হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং তার নির্দেশ অনুযায়ী চলুন। 

পর্যাপ্ত বিশ্রাম: 

ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া খুব জরুরি। তাই ডেঙ্গু হলে বিশ্রাম নিন। 

প্রচুর তরল গ্রহণ:

ডেঙ্গু হলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রচুর পরিমাণ পানি, শরবত, ফলের রস, ডাবের পানি, ওরস্যালাইন এবং স্যুপ। 

ওষুধ: 

প্যারাসিটেমল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করবেন না।

হাসপাতালে ভর্তি: 

পালস প্রেশার খুব কমে গেলে কিংবা অন্য কোনো জটিল লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যান।

কা/আ 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত