ডি মারিয়া-মার্টিনেজের গোলে টানা জয়ের রেকর্ড আর্জেন্টিনার
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১০:১৬ | আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬
আর্জেন্টিনার অপরাজেয় যাত্রা ছুটছেই। সর্বশেষ চিলিকে হারালো তারা। আর তাতে ব্রাজিলের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানও কমালো আলবিসেলেস্তেরা। চিলির কালামা শহরে শুক্রবার দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
এই নিয়ে সব মিলিয়ে টানা ২৮ ম্যাচে অপরাজিত রইলো আর্জেন্টিনা। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু তাদের এই অপরাজেয় হয়ে ওঠা।
কোভিড বিধিনিষেধের কারণে এই ম্যাচের ডাগআউটে ছিলেন না আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি। চলতি মাসের শুরুতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া লিওনেল মেসিও ছিলেন না। অনেক আগেই সেরে উঠলেও পিএসজির অনুরোধে তাকে এই পর্বের দুই ম্যাচে দলে রাখেননি স্কালোনি। তাতে অবশ্য জয় তুলে নিতে বিশেষ অসুবিধায় পড়তে হয়নি তাদের।
ম্যাচের নবম মিনিটে দি মারিয়ার অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো দে পলের পাস ধরে আক্রমণে উঠে ২২ গজ দূর থেকে শট নেন পিএসজি তারকা। বুলেট গতির শটে বল দূরের পোস্টে জড়িয়ে যায়।
অবশ্য চিলিও সমতায় ফিরতে দেরি করেনি। গোল হজমের মিনিটে ১১ পর মার্সেলিনো নুনেসের ক্রসে ছয় গজ বক্সের বাঁ দিক থেকে কোনাকুনি হেডে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান ব্ল্যাকবার্ন ফরোয়ার্ড ব্রেরেতন। এই নিয়ে টানা ৬ ম্যাচ পর প্রথম গোল হজম করল আর্জেন্টিনা।
৩৪তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। আতলেতিকো মাদ্রিদের মিডফিল্ডার দে পলের দূরপাল্লার শট দুই হাত উঁচু করে ঠেকান গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো। কিন্তু বল পেয়ে যান ডি-বক্সে থাকা মার্তিনেসের পায়ে। দারুণ প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে লক্ষ্যভেদ করেন ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে চিলি আক্রমণের ধার বাড়ালেও আর্জেন্টিনা চলে রক্ষণাত্মক ভূমিকায়। দুই দলই উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ শানাতে পারছিল না। তবে ৮৩তম মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো একটা সুযোগ আসে স্বাগতিকদের সামনে। কিন্তু এদুয়ার্দো ভার্গাসের হেড ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস।
১৪ ম্যাচে ৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ৩২। দিনের আরেক ম্যাচে ইকুয়েডরের সঙ্গে ড্র করা ব্রাজিল সমান ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। ১৫ ম্যাচে সাত জয় ও তিন ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে ইকুয়েডর। উরুগুয়ে ১৫ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে চার নম্বরে। ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে কলম্বিয়া। পেরুর পয়েন্টও সমান ১৭। ১৫ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে চিলি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত