ট্রাম্পের পথেই হাঁটলেন বাইডেন, আরও চীনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশ: ৪ জুন ২০২১, ০৯:৪৯ | আপডেট : ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩২
চীন প্রশ্নে পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথেই হাঁটলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চীনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে— দেশটির এমন কয়েক ডজন প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানে মার্কিন নাগরিকদের বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল চীনের ৩১টি প্রতিষ্ঠান। এখন সেটা বেড়ে হবে ৫৯টি। এর মধ্যে চীনের বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েও রয়েছে। বাইডেনের নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশ আগামী ২ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শাসনামলে চীনের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। বাণিজ্য ও কূটনৈতিক দ্বন্দ্বসহ নানা কারণে দুই দেশ মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়। দেশ দুটি পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে। এরই প্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প চীনের নামকরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসহ ৩১টি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষাধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। এখন তাঁর উত্তরসূরি বাইডেন নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও লম্বা করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার আগেই চীনের কর্মকর্তারা আগেই জানিয়েছে রেখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বাইডেন চীনের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি কানে তুললেন না। বরং নিষেধাজ্ঞার আওতা আরও বাড়ালেন। বাইডেনের নতুন নির্বাহী আদেশ মোতাবেক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়া চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার কিনতে বা বিক্রি করতে পারবেন না যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি।
চীনের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হচ্ছে, চীনের সামরিক শিল্পকারখানায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বিনিয়োগ করতে না দেওয়া। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু এমনভাবে ঠিক করা হয়েছে যাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর সর্বোচ্চ প্রভাব পড়ে আর বৈশ্বিক বাজারগুলো সবচেয়ে কম ক্ষতির শিকার হয়।
২০১৯ সালে ট্রাম্প চীনের প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তার সূদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ার কথা সম্প্রতি স্বীকার করেছে হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠানটি বিদেশে অনেক কাজ হারিয়েছে। ফলে নতুন নিষেধাজ্ঞা চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
বিজ্ঞাপন
চীনের পশ্চিমাঞ্চল জিনজিয়াং অঞ্চলে সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুরসহ দেশটির নাগরিকদের ওপর নজরদারির খবর প্রকাশের পর বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হলো। চীন ঘরে–বাইরে, সব জায়গায় নিপীড়ন ও আগ্রাসন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে বাইডেন প্রশাসন।
বাইডেন প্রশাসনের পদক্ষেপের ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় আইন মোতাবেক পাল্টা পদক্ষেপ নেবে চীন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত