টিকা বিক্রিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা অবৈধভাবে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিক্রি হচ্ছে এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা টিকা বিক্রিতে জড়িত থাকলে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। 

অধিদফতরের মহাপরিচালক আরও বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা বিক্রির ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

আজ রোববার সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, টিকা চুরি করার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। টিকা বিক্রির ব্যাপারে তদন্ত চলছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বললেন, নিয়মবহির্ভূত টিকা নেওয়াদের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। টিকা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ ও নির্দিষ্ট নিয়মে পরিবহন করতে হয়। এর ব্যত্যয় হলে টিকা এর কার্যকারিতা হারাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এসব সুবিধা সব জায়গায় না থাকায় চুরি করেও যদি টিকা বিক্রি করা হয়, সেটা কোনো কাজে লাগবে না। বরং এর মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। এভাবে টিকা বিক্রি ঠেকাতে না পারলে একসময় দেখা যাবে টিকার বদলে পানি দিয়ে বা কম পরিমাণে টিকা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে। এতে টিকাগ্রহীতা একটা ফলস সিকিউরিটিতে ভুগবেন যে তিনি টিকা নিয়েছেন। আসলে ওই টিকা তার কোনো কাজেই আসবে না। 

এভাবে টিকা বিক্রি ঠেকাতে এখন থেকেই কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ। তিনি জানান, টিকার সরবরাহ, বিতরণ, পরিবহন ও প্রয়োগের প্রতিটি পর্যায়ে কঠোর মনিটর করা প্রয়োজন।  

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট দিবাগত রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার ‘দরিদ্র পরিবার সেবা’ নামে একটি ক্লিনিকে অবৈধভাবে করোনাভাইরাসের মডার্নার টিকা দেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক বিজয়কৃষ্ণ তালুকদারকে (৩৭) পুলিশ আটক করে। এ সময় ক্লিনিকটি থেকে মডার্নার টিকার দুটি এম্পুল পাওয়া যায়। যার একটির মধ্যে টিকার আইসিক ছিল। এছাড়া মডার্নার টিকার খালি বক্স পাওয়া যায় ২২টি। সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।